অভিমানী পরীমনির গল্প!

| আপডেট :  ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:১৭ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:১৫ অপরাহ্ণ

ঢাকাই সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার সিংহখালী গ্রামে নানা বাড়িতে তার জন্ম। মা-বাবাহীন একটি অনাথ মেয়ে থেকে হয়েছেন ঢালিউডের প্রথম সারির নায়িকা। পরীর ঢালিউডে যাত্রা ২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ সিনেমার মধ্য দিয়ে।

নানা সময়ে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি বা ভেরিফাইড পেজে অভিনাম কিংবা মন ভাঙ্গার স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়। সম্প্রতি পরী তার স্বামীকে নিয়ে বেশ অভিমান আছেন; পরীর দেয়া স্ট্যাটাসগুলো পড়লেই বোঝা যায়। পরীমনির যে অভিমান একটু বেশি সে কথাও জানিয়েছেন পরীর শ্বশুর মুসলিম মিয়া।

রাজকে ঘিরে পরীমনির কিসের এত অভিমান, কারণ কি? এখান থেকেও অভিমানের সূচনা হতে পারে, গত ৯ নভেম্বর দেয়া এক ফেসবুক পোস্টে চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফির উদ্দেশে পরী লিখেন, রায়হান রাফি সিনেমার সাথে সাথে দালালিটাও ভালো করেন দেখি! এরপরের লাইনে ক্ষোভ ঝাড়েন জনপ্রিয় নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমের ওপর। মিমের উদ্দেশে পরী লিখেন, ‘নিজের জামাইকে নিয়েই সন্তষ্ট থাকা উচিত ছিল। আর সর্বশেষ লাইনটা স্বামী শরিফুল রাজের উদ্দেশে লেখেন পরী। তিনি লেখেন, এটা এতোদূর গড়াতে দেয়া উচিত হয়নি তোমার।

এরপর শোবিজ অঙ্গনে বিতর্কের ঝড় উঠলে গত ১১ নভেম্বর আরেকটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে বর্তমান সময়ের ব্যবসাসফল নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমের সাথে রাজকে জড়িয়ে নানা অভিযোগ আনেন পরী। বলেন, এখন তোমাদের (রাজ-মিম) ব্যবসায়িক ছুতোয় আলাপ চলে রাত দিন। আমি একা সারারাত বাচ্চাটাকে সামলাই।

এদিকে বছরের শেষ দিনের প্রথম প্রহরে চিত্রনায়িকা পরীমণি স্বামী শরিফুল রাজকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি রাজকে জীবন থেকে ছুটি দেয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে।’

অন্যদিকে, শরিফুল রাজের বাবা মুসলিম মিয়ার দাবি, রাজ ও পরীর বিচ্ছেদ হয়নি। তারা এখনো এক সঙ্গে আছে বলেও জানিয়েছেন। এদিকে, পরীমনির দেয়া স্ট্যাস্টাসে পরী আরও লেখেন, শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া স্ট্যাটাসে পরীমণি লেখেন, ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নেই।’