‘শাবনূর’ অর্থ এবং প্রথম মুক্তি পাওয়া সিনেমার মধ্যে এক অদ্ভুত মিল

| আপডেট :  ২৮ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ণ

বাংলা চলচ্চিত্রে প্রায় দুই দশক একমাত্র অভিনেত্রী হিসেবে রাজত্ব করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। বর্তমানে তিনি ছেলে আইজানইকে নিয়ে শাবনূর অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন। দেশের একটি গণমাধ্যমে শাবনূর জানান, এখনও তার সিনেমায় অভিনয় করার ইচ্ছা আছে। তিনি বলেন, আমাকে প্রাধান্য দিয়ে তেমন গল্পের সিনেমা ও কিংবা ওটিটির বড় কোনো কাজে নির্মাতারা আগ্রহী হন, তাহলে অবশ্যই কাজে ফিরব।

১৯৯২ সালে বরেণ্য নির্মাতা এহতেশাম চলচ্চিত্রে নিয়ে এলেন সুন্দর মুখশ্রীর মেয়ে নূপুরকে। সেই নূপুরই আজকের নন্দিত অভিনেত্রী শাবনূর। ‘শাবনূর’ অর্থ রাতের আলো। ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর মুক্তি পায় তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘চাঁদনী রাতে’। ‘শাবনূর’ নামের অর্থ এবং প্রথম মুক্তি পাওয়া সিনেমার নামের মধ্যে রয়েছে অদ্ভুত এক মিল। ‘স্বপ্টেম্নর ঠিকানা’ সিনেমার মাধ্যমে রচিত হলো নতুন গল্প। তাঁর প্রতিভার বিচ্ছুরণে আলোকিত হয়েছে চলচ্চিত্রের আকাশ।

এই অভিনেত্রী পৃথিবী হচ্ছে তার ছেলে আইজান। ছেলেকে নিয়ে তিনি বলেন, ছেলে আইজানই আমার পৃথিবী। ওকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। বোন ঝুমুরের সঙ্গও বেশ উপভোগ করছি। কিছু ব্যবসার সঙ্গে নিজেকে জড়িত করেছি। বাড়ির আঙিনায় বিশাল এলাকায় সবজির বাগান রয়েছে। সেখানে শীতকালীন লাউ, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো, শিম, বেগুন থকে শুরু করে নানা ধরনের সবজির চাষ করছি; যা সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে অনেকেই দেখেছেন। সব মিলিয়ে সময় ভালোই যাচ্ছে।

এদিকে বাংলা সিনেমার নান্দিত এই অভিনেত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি, পেজ, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে নিয়মিত কাজের আপডেট দিয়ে ভক্ত ও দর্শকের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছেন। এছাড়া সিনেমার শাবনূরকে পর্দায় না পেয়ে ভক্তরা তাঁকে খুঁজে ফেরেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউবে।

দেশের বাহিরে থাকলেও সিনেমা নিয়ে তার আগ্রহের কমতি নেই। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রে অভিনয় না করলেও খোঁজ-খবর নিয়মিত রাখি। এখন সিনেমার সংখ্যা খুবই কম। এ বিষয়টিতে সবার নজর দেওয়া উচিত। কীভাবে ভালো মানের সিনেমার সংখ্যা বাড়ানো যায়, এ নিয়ে চিন্তা করা দরকার। তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন বিশ্বজুড়ে আমাদের সিনেমার দর্শক বেড়েছে। প্রবাসীরা বাংলা সিনেমা দেখছেন।

বাংলা সিনেমা এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাহিরে দর্শক প্রিয় হওয়া এই অভিনেত্রী আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বেশ কয়েকটি ছবি বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেয়েছে। দর্শক ছবিগুলো খুব উৎসাহ নিয়ে দেখেছেন। সমন্বিতভাবে সবাই কাজ করলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে আমি মনে করি।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে সিনেমার অভিনয়ে অনিয়মিত একসময়ের দর্শক প্রিয় এই অভিনেত্রী। ২০০০ সালের শুরু থেকে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ছোট বোনের কাছে থাকছিলেন। একসময় সেখানকার নাগরিকত্বও পান। এরপর থেকে ছেলেকে নিয়েই অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘদিন প্রবাসজীবন পার করছেন তিনি।