সব
ছোটোবেলা থেকেই আঁকাআঁকির প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিলো মেঘলা ভৌমিকের। শৈশবে ২ বছর একটি স্কুলে ড্রইংও শিখেছিলেন। তারপর থেকেই রংতুলির সাথে একটি গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে মেঘলার। আর এরপর ১০ বছর যাবৎ নিজের ইচ্ছায় ছবি আঁকা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।
তবে শখকে কখনও পেশা হিসেবে বেছে নেবেন এমনটা ভাবেননি মেঘলা। ২০১৬ সালে তিনি সর্বপ্রথম অনলাইনে তার আকাঁ ছবি বিক্রি করে অর্থ আয় করেন। এরপর কিছু ক্রেতা নিয়মতিই তার আকাঁ ছবি কিনতেন। কিন্তু তখন পর্যন্তও ছবি আকাঁকে শখেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন মেঘলা।
কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অন্যভাবে ভাবতে শুরু করে মেঘলাকে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যখন ছাঁটাই প্রক্রিয়া চলছে তখন বেসরকারি আইটি ফার্মে চাকরি করা মেঘলা নিজে কিছু করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। উদ্দেশ্য ছিলো চাকরি চলে গেলেও যেনো স্বাবলম্বী থাকতে পারেন।
আর এই চিন্তা থেকেই শুরু হয় চারুকুটিরের যাত্রা এই যাত্রয় তাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা যোগান তার বড় বোন। প্রথমে তিনি মাত্র ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কাপড় কিনে তাতে হ্যান্ড পেইন্ট করে বিক্রি শুরু করেন। এরপর তার হ্যান্ড পেইন্ট পণ্য বিক্রি হয় মোট ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯০ টাকা।র
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মেঘলা জানান, তিনি চারুকুটিরকে নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যেতে চান এবং চারুকুটির নামে একটি শো-রুম দিতে চান। তার ইচ্ছে তার পণ্য দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করবে, ক্রেতারা নিজে দেখে ঘুরে পণ্য ক্রয় করতে পারবে। পাশাপাশি আরও ১০ জনের কর্মসংস্থান হবে।