জামদানি নিয়ে কাজ করে লাখপতি সানজিদা

| আপডেট :  ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৫:১৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৫:১৪ অপরাহ্ণ

সানজিদা যখন কেবলমাত্র কলেজের শিক্ষার্থী তখনই তার বাবা স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন। তাই পড়ালেখা শেষ হওয়ার আগেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয় সানজিদাকে। আনোয়ার সাদাত নামের একজন ইঞ্জিনিয়ারের সাথে বিবাহ হয় তার।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিয়ের পর মেয়েদের পক্ষে পড়ালেখা চালিয়ে নেয়া সম্ভব না হলেও সানজিদার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছিলেন ব্যতিক্রম। তাদের অনুপ্রেরণায় শ্বশুরবাড়ি থেকে পড়াশোনা শুরু করেন। মার্কেটিংয়ে বিবিএ শেষ করার পরে চাকরির সুযোগ পান। কিন্তু নবজাতক ও যৌথ সংসার সামলাতে গিয়ে কাজ করা কঠিন হয়ে যায়। তাই সিদ্ধান্ত নেন নিজেই কিছু একটা করবেন।

চট্টগ্রামের মেয়ে সানজিদার ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজাইনিং, আঁকাআঁকি ও মেকআপের শখ ছিল তার। মা-খালাদের জামদানি শাড়ি দেখে জামদানি পণ্যের প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহ জাগে। এই আগ্রহ থেকেই ২০১৪ সালে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন জায়গা থেকে বিউটিফিকেশন ও বুটিকস রিলেটেড কোর্স করেন এবং ‘Aliza makeover’ নামে লেডিস সেলুন ও বুটিকস শপ দেন। শুরুতে তার শপে আট জন কর্মচারী ও একজন কারিগর ছিল।

এরপর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলো অনলাইনে তুলে ধরে তার উদ্যোগে Alizabd ও Aliza food পেক সাজিয়েছেন। তার পণ্যগুলোর মধ্য আছে- নারায়ণগঞ্জের জামদানিতে ফিউশন, জামদানি শাড়ি, জামদানি ফ্রক, ফতুয়া ব্লক হাউস পেইন্ট ও জুট ফিউশনে শাড়ি, থ্রি-পিস, ব্যাগ ও বিছানার চাদর ইত্যাদি। ইতোমধ্যে উই থেকে তার জামদানি ও জুট পণ্য অলরেডি তিনটি দেশের প্রবাসীদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন। উইতে তার মোট পণ্য বিক্রি হয়েছে দেড় লাখের ওপর।

এছাড়া তার আলিজা ফুড পেজের মাধ্যমে তিনি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বিষমুক্ত শুঁটকি সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

সানজিদা আফরোজ জানান, খুব শিগগিরই তিনি জামদানি ব্লক ও হ্যান্ডপেইন্ট গাউন, টপস তৈরি করবেন। এছাড়া বিদেশিদের জন্য এবং দেশীয় সব অনুষ্ঠানের জন্য লেহেঙ্গা, ব্যাগ ও জুতাও তৈরি করবেন। তার স্বপ্ন আলিজাবিডিকে সবাই একনামে দেশীয় পণ্য হিসেবে চিনবে।