‘চল বাবু, আমরা যেভাবে নাচতাম, সেভাবে ছবি তুলি’

| আপডেট :  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৩২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:০৯ অপরাহ্ণ

চঞ্চল চৌধুরীর প্রসংসা করে বিভিন্ন সময় কথা বলেছেন কলকাতার সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি চঞ্চলের ভূয়সী প্রশংসা করে ফেসবুকে এক পোস্ট করেছিলেন। এবার সেই চঞ্চলকে পাশে পেয়ে উচ্ছ্বসিত এই অভিনেতা। শুধু প্রসেনজিৎই নয়, তার বাড়িতে বসেছিলো দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতাদের মিলনমেলা।

সম্প্রতি ৬ বছরে পদার্পণ করেছে ভারতীয় ওটিটি প্লাটফর্ম হইচই। যে প্লাটফর্মটির বদৌলতে যেন একাকার হয়ে গেলেন ঢাকা-কলকাতার অভিনয় শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা। দুই বাংলা মিলিয়ে নতুন ২৫টি কন্টেন্ট ঘোষণার পাশাপাশি এক মঞ্চে দাঁড়ালেন ঢাকা-কলকাতার পরিচিত মুখগুলো।

হইচইয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে বেশ কয়েকজন তারকা শিল্পী গিয়েছিলেন কলকাতায়। এরপর প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জীর আমন্ত্রণে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন অনেকে। এরমধ্যে চঞ্চল চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, বৃন্দাবন দাশ, শাহনাজ খুশী, সৈয়দ আহমেদ শাওকী, বিজরী বরকতউল্লাহ সহ ছিলেন আরও কয়েকজন। প্রসেনজিতের আতিথেয়তায় মুগ্ধ ঢাকার তারকারা। ঢাকা-কলকাতার শিল্পীদের সৌহার্দ্যপূর্ণ মিলন মেলা যেনো মন ছুঁয়েছে ভক্ত অনুরাগীদেরও।

এসময় চঞ্চলকে বুম্বাদা তার সেই পরিচিত আদুরে সুরে কাছে ডেকে ছবি তোলেন। প্রসেনজিতের সঙ্গে তার বাড়িতে কাটানো মুহূর্তের একটি স্থিরচিত্র নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে চঞ্চল চৌধুরী লিখেন,“সবার সংগে ছবি তোলা শেষে আমাকে বললেন ‘চল বাবু… মনের মানুষ এ আমরা যেমন করে গানের সাথে নাচতাম, সেরকম একটা ছবি তুলি’! ইনিই বুম্বাদা…!”

প্রসেনজিতের বাড়িতে ডিনারের আমন্ত্রণের অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাহ। প্রসেনজিতের ঘরের বেশকিছু মুহূর্তের ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘একজন শিল্পীর বিনয় তাকে মানুষ হিসেবে অনেক উঁচুতে নিয়ে যায়। সেটি প্রমাণ করেছেন কলকাতার প্রথিতযশা জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (বুম্বাদা)।’

বিজরী লিখেন, বুম্বাদার সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার ও বিনয়ে আমরা মুগ্ধ হলাম। তিনি রাতের খাবারের আয়োজন করেছিলেন তার বাড়িতে আমাদের জন্য মানে বাংলাদেশের কিছু শিল্পীদের জন্য। চমৎকার সময় আমরা কাটিয়েছি তার বাড়ীতে। ভীষণ পরিপাটি এবং শৈল্পিকতার ছোঁয়ায় পরিপূর্ণ এ বাড়িটির রয়েছে ঐতিহাসিক মর্যাদা। দারুণ একটি সময় কাটালাম আমরা। চঞ্চল চৌধুরী তোমাকে ধন্যবাদ এই উদ্যোগটি নেয়ার জন্য।’