সব
বিচিত্র এক জায়গার নাম চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি। এখানে আজকের মহাতারকার খোঁজ থাকে না কাল। সময়ের সাথে সাথে উত্থান-পতনের খেলা চলে তারকাদের জীবনে। মাঝে মাঝেই গণমাধ্যমে খবর পাওয়া যায়, এক সময়ের জনপ্রিয় তারকার জীবন ডুবে গেছে অভাবের অন্ধকারে। আবার অনেকেই জীবিকার তাড়নায় বেছে নেন নানা ধরনের কাজ।
তেমনই এক তারকার নাম একতা শার্মা। অভাবের তাড়নায় কল সেন্টারে কাজ করছেন এই জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী। মূলত, করোনার সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ না পেয়ে রুটিরুজির জন্য কল সেন্টারে চাকরি নেন তিনি। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
তবে নিজের কাজ নিয়ে গর্বিত একতা শর্মা। তিনি বলেন—‘আমি শিক্ষিত একজন নারী। বাড়িতে বসে কান্নাকাটি করার চেয়ে বাইরে গিয়ে রোজগার করাই শ্রেয় মনে হয়েছে। আমি সম্মানজনক একটি কাজ করি; এজন্য আমি গর্বিত।’
এর আগে হাতে যখন কোনো কাজ নেই, জীবিকার তাগিদে নিজের গহনা বিক্রি করে দেন একতা। প্রথমে ভেবেছিলেন এক বছর পর সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ভাবনার সঙ্গে আর বাস্তবতা মিলেনি। একতা বলেন, ‘বাইরে গিয়ে কাজ করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। আগে বিলাসবহুল জীবন যাপন করেছি; ডায়েট খাবার খেতাম, আমাকে সাহায্য করার জন্য স্পট বয়রা থাকত। এখন ক্ষিপ্ত গ্রাহকদের সঙ্গেও কথা বলতে হয়। আমার জীবন বদলে গিয়েছে।’
প্রথমে অভাব থেকে মুক্তির জন্য ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে কাজ খুঁজেছিলেন একতা। কাজের জন্য তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু সব জায়গায় নিরাশ হতে হয় তাকে। এক সময়ের পরিচত মানুষ কিংবা বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী ও কাছের মানুষ, কেউই তাকে সাহায্য করেনি। পরে বাধ্য হয়ে কল সেন্টারে চাকরি নেন তিনি।
তবে সব মিলিয়ে নিজের বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান অভিনেত্রী। তিনি জানান, বাবা-মা পড়াশোনা করিয়েছেন, যার ফলটুকু এখন পাচ্ছেন তিনি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এক সময় টিভি পর্দা দাপিয়ে বেড়ানো এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি আমার বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমার স্নাতক সম্পন্ন করিয়েছেন। যার জন্য এই চাকরি আমি পেয়েছি।’
একতা শর্মাকে সোনি, স্টার প্লাস থেকে কালার্স, জি-এর মতো বহু চ্যানেলের জনপ্রিয় সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে। ‘ড্যাডি সামঝা করো’, ‘কুসুম’, ‘কিউ কি সাস ভি কাভি বহু থি’, ‘কামিনী দামিনী’ প্রভৃতি সিরিয়ালের কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। কখনও সাদামাটা গৃহবধূর চরিত্রে আবার কখনও বা খল ভূমিকায় দর্শকদের কাছে প্রিয় মুখ হয়ে উঠেছিলেন একতা শর্মা।