‘যেকোনো মাধ্যমে আমি অ্যাকসেপ্টেবল’

| আপডেট :  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৪৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৪৯ অপরাহ্ণ

শিশুশিল্পী হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু আইশা খানের। একসময় সিনেমায়ও কাজ করেছেন এই অভিনয়শিল্পী। দেড় বছর আগে ওটিটি মাধ্যমে পদার্পণের পর ‘কন্ট্রাক্ট’, ‘কাইজার’-এর মতো আলোচিত সিরিজে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন তিনি। অভিনয় সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে আইশা খান বলেছেন, ‘যদি চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতে পারি, তাহলে শুধু ওটিটিতে নয়, যেকোনো মাধ্যমে আমি অ্যাকসেপ্টেবল।’

নিজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের জন্য ৭৫ ভাগ ভাগ্য আর বাকিটা আমার প্রচেষ্টার ওপর নির্ভর করে বলে মনে করি। সিরিজগুলোতে এতগুলো চরিত্রের মধ্যে আমাকে দর্শকেরা আমাকে নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধা ছিল। কিন্তু পরে দেখলাম, দর্শকেরা আমাকে গ্রহণ করেছে। এ এমন পরিচয় সিরিজে আমাকে ঘিরে কাহিনি আবর্তিত হয়েছে। যদি চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতে পারি, তাহলে শুধু ওটিটিতে নয়, যেকোনো মাধ্যমে আমি অ্যাকসেপ্টেবল।’

সিনেমা নিয়ে নিজের ভাবনার কথা শেয়ার করতে গিয়ে তিনি জানান, বিভিন্ন উৎসবে যে সিনেমাগুলো পাঠানো হয়, সেই সে ধরনের সিনেমায় কাজ করার খুব ইচ্ছা ছিল তার। তিনি বলেন, ‘মাঝে ভালো কয়েকজন নির্মাতার কাছ থেকে সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছি। তাদের কাছ থেকে সময় চেয়ে নিয়েছি। আপাতত সিনেমায় কাজ করতে পারব বলে মনে হয় না। পড়াশোনার চাপ আছে। পড়াশোনার চাপ থেকে বের হওয়ার পর ভালো চিত্রনাট্য, ভালো নির্মাতা পেলে কাজ করব।’

ক্যারিয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নিজেকে একজন ‘ব্যাড প্ল্যানার’ হিসেবে দাবি করেন। কোনো পরিকল্পনাই তিনি ঠিকমতো গরহণ করতেবপারেন না জানিয়ে আইশা বলেন, ‘তিন বছর ধরে একটা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্চে আমাকে, ‘উপস্থাপনা নাকি অভিনয়, নিজেকে কোথায় দেখতে চাও?’ আমি দুই জায়গাতেই নিজেকে দেখতে চাই, কিন্তু একই সঙ্গে নয়।’

শৈশবে নাচের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আইশা। শিশুশিল্পী হিসেবে সাড়ে ৭২ ঘণ্টা নাটকে কাজ করেছিলেন। সেই শুরু, এরপর বেশ কয়েকটি নাটকে কাজ করেছেন। পরে কলেজ ভর্তির পর আর অভিনয় চালিয়ে যাওয়া হয়নি। কলেজে অভিনয় না করলেও নাচ করতেন বলে জানান এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর আহত ফুলের গল্প সিনেমায় কাজ করেছি। টানা ১৫ দিন কাজ করেছি। এর মাঝে ২০১৬ সালে একটি বিজ্ঞাপন করেছি।’

আইশা বলেন, ‘২০২০ সালে ‘ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প’তে কাজের মধ্য দিয়ে ফিকশনে যুক্ত হলাম। এরপর কন্ট্রাক্ট দিয়ে ওটিটি মাধ্যমে যাত্রা করেছি। ২০২০ সালে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ফার্মাসি বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছি। কাজের জন্য স্নাতকোত্তর শেষ করতে পারছি না।’