স্ত্রী’র প’র’কী’য়ায় স্বা’মীর স’হযোগিতা, অতঃপর..

| আপডেট :  ১২ জানুয়ারি ২০২১, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১২ জানুয়ারি ২০২১, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বি’স্ময়ের শেষ নেই ফরিদার। দুশ্চিন্তা ছিলো হয়তো সং’সার আর টি’কবে না। বিষয়টি জানার পর ফরিদার সঙ্গে ঝ’গ’ড়া হবে। মা’রধ’রও করতে পারেন তার স্বা’মী আনোয়ার হোসেন। এমনকি ডি’ভো’র্সও হয়ে যেতে পারে। দিন দুপুরে হঠাৎ বাসায় ফিরে মনিরকে স্ত্রী ফরিদার রুমে দেখতে পান। মনির নিরবে বে’র হয়ে যায়। তখনও বি’ছানা, এমনকি ফরিদার পরনের কা’পড়ও এ’লোমেলো।

তার চেয়ে ভ’য়’ঙ্ক’র বিষয় ক’নডমের ছেঁ’ড়া প্যাকেট পড়েছিলো বালিশের কাছেই। তী’ক্ষ্ণ দৃ’ষ্টিতে তা দেখছিলেন আনোয়ার। কিন্তু কোনো কথা বলেননি। নিরবে পাশের রুমে গিয়ে টিভি দেখছিলেন। দিন যাচ্ছিলো আর ফরিদার জন্য অপেক্ষা করছিলো চমকের পর চমক। একপর্যায়ে মনিরের স’ঙ্গে স্বাধীনভাবে মে’লামেশার সুযোগ করে দেন স্বা’মী আনোয়ার হোসেন নিজেই। ঘটনাটি পুরান ঢাকার। শেষ পর্যন্ত আনোয়ার-ফরিদার কবল থেকে র’ক্ষা পেতে পা’লিয়ে যান মনির। সা’মাজিকতার কথা ভেবে বিষয়টি মা’ম’লা পর্যন্ত না গেলেও গ’ড়িয়েছে থানা-পুলিশে। একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন মনির।

মনিরের বাড়ি কি’শোরগঞ্জে। পুরান ঢাকায় বড় বোনের বাড়িতে থাকেন। ভগ্নিপতির একটি মুদি দোকান রয়েছে লালবাগে। দুই কর্মচারীসহ ওই দোকানটি পরিচালনা করেন তিনি। ভগ্নিপতি গাড়ির ব্যবসা করেন। মাঝে-মধ্যে দোকানে পা রাখেন। দোকানে প্রতিদিন অনেক না’রী-পু’রুষের সঙ্গে কথা হয়, পরিচয় হয়। এরমধ্যেই এক না’রীর স’ঙ্গে কথা বলতে বলতে চ’র’ম ভালোলাগার সৃষ্টি হয় একুশ বছর বয়সী মনিরের। ফর্সা, সুন্দর, সদা হা’স্যোজ্জ্বল মুখের পয়ত্রিশ বছর উর্ধ্ব ওই না’রীর নাম ফরিদা।

প্রথমে কে’নাকা’টা করতে এলে শুধু এই সংক্রান্ত কথাই হতো। তা সর্বোচ্চ দুই-এক মিনিট। তারপর ধীরে ধীরে ব্য’ক্তিগত বিষয়ে নানা জিজ্ঞাসা। কোথায় থাকেন, পরিবারে কে কে আছে, লেখাপড়া কোথায় করেছেন.. এরকম নানা জিজ্ঞাসা ওই না’রীর। মনিরও জানতে চান ব্য’ক্তিগত নানা বিষয়। ফরিদা জানান, দোকানে বসে এতো কথা বলা ঠিক না। বাইরে কোথাও বসবেন। যেই কথা সেই কাজ। আবেগ প্রবণ মনির ফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন। এভাবেই স’ম্পর্কের সূত্রপাত।

এক বিকালে দেখা হয় দু’জনের। পাশের একটি রেস্টুরেন্টে বসে কথা বলেন দীর্ঘ সময়। ফরিদা তার চা’পা ক’ষ্টের কথা বলেন। বি’য়ে হয়েছে অনেক বছর। সংসারে কোনো সু’খ নেই। স্বা’মী আনোয়ার বিয়ের আগে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। ওই সময় থেকেই ব’ন্ধুদের স’ঙ্গে গাঁ’জা সে’বন করতেন আনোয়ার। অবশ্য বি’য়ের আগে তা জানতেন না ফরিদা। বিয়ের পর জানতে পারেন শুধু গাঁ’জা না, ম’র’ণনে’শা ই’য়াবাতেও আ’স’ক্তি আছে তার।

জানার পর বা”ধা দে’ন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হ’য়নি। ই’য়া’বা সে’বনের কারণে সারা রাত নি’র্ঘুম কা’টা’তে পারেন। দীর্ঘ সময় শা’রী’রিক স’ম্পর্ক করতে পারতেন আনোয়ার। কিন্তু এই মে’য়াদ দ্রুত ফুরিয়ে যায় বলেছিলেন চি’কিৎসকরা। তারপর শ’রীরে আর কিছুই থাকে না। পুরোপুরি অ’ক্ষম। অ’ক্ষম অনোয়ারকে চি’কিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরই বি’ষয়টি বুঝতে পারেন। কিন্তু ই’য়া’বা থেকে ফে’রানো স’ম্ভব হচ্ছিলো না তাকে। ম’র’ণনে’শা ই’য়া’বাতেই ডু’বে রয়েছেন আনোয়ার। ব্যবসাও লাটে ওঠেছে। জমি বিক্রি করে চলতে হচ্ছে এখন। ভেবেছেন সং’সার ছে’ড়ে চলে যাবেন ফরিদা।

কিন্তু স্কুল পড়–য়া ছে’লে স’ন্তানটির দিকে তাকিয়ে মা’দ’কাস’ক্ত স্বা’মীর সং’সারই করছেন। তাছাড়া স’মাজও বি’চ্ছে’দটাকে ভালো চোখে দেখে না। কিন্তু ফরিদারও জী’বন আছে। যৌ’ব’ন আছে। এখন তার একজন ব’ন্ধু দরকার। অ’কপটে কথাগুলো মনিরকে বলেন তিনি।

মনির বিষয়টি বুঝতে পারেন। সেভাবেই সাড়া দেন তিনি। ছে’লেটি যখন স্কুলে, আনোয়ার যখন বাসার বাইরে, তখনই মনিরকে বাসায় ডাকেন ফরিদা। একান্তে সময় কা’টা’ন দু’জন। সরু গলি দিয়ে ছ’তলা বাড়ির নিচ তলার ফ্ল্যাট। ফরিদার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট ছে’লেকে দেখে কেউ কিছু মনে করে না। অনেকটা স্বাধীনভাবেই আসা-যাওয়া করেন।

প্রকৃত নাম-পরিচয় গো’পন রাখার শর্তে মনিরের ভগ্নিপতি জানান, তার অজান্তে দোকান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ফরিদার বাসায় পৌঁছে দিতেন মনির। সেই হিসেব ছিলো না কোথাও। বিষয়টি জানতে পারেন বেশ পরে। সাধারণত সকালে বাসা থেকে বের হয়ে বিকাল ৫টার দিকে বাসায় ফিরতেন ফরিদার স্বা’মী আনোয়ার। আবার বাসা থেকে বের হতেন সন্ধ্যায়। ফিরতেন গভীর রাতে। হঠাৎ এক দুপুরে বাসায় ফেরেন আনোয়ার। মনির তখন ফরিদার কক্ষে। ঘ’নিষ্ঠ মু’হূ’র্তে দু’জন। ক’লিংবেলের শব্দ শুনে হ’তভ’ম্ব ফরিদা। এই সময়ে আবার কে এলো। সাধারণত ফোন না দিয়ে বাইরের কেউ বাসায় আসে না।

ধা’ক্কা দিয়ে মনিরকে স’রিয়ে দরজার কাছে যান ফরিদা। ভেতর থেকে দেখতে পান বাইরে দাঁড়িয়ে আনোয়ার। দ্রুত স্বাভাবিক হওয়ার চে’ষ্টা করেন। সময় ক্ষে’পণ করলে আনোয়ার ভীষণ রে’গে যাবেন। দরজা খুলে দেন। মনিরকে দেখতে পান শার্টের বোতাম লাগাচ্ছেন। তারপর দ্রুত বের হয়ে যান। ফরিদার চুল, শাড়ি, বিছানা এ’লোমেলো। বালিশের পাশে ক’নডমের ছেঁ’ড়া প্যাকেট।

তারপরও স্বাভাবিক আনোয়ার। পাশের রুমে বসে টিভি দেখছিলেন। রাতে ফরিদাকে কাছে টে’নে জানান, তিনি যেহেতু অ’ক্ষ’ম। ফরিদার বন্ধু হিসেবে ওই ছে’লেটা ভালোই হবে। স্বাধীনভাবে বাসায় তাকে ডেকে আনতে বলেন। রাতে-দিনে। স্বামী আনোয়ার হোসেনের কোনো আ’প’ত্তি নেই তাতে। তবে বাইরের কেউ যেনো না জানে। এজন্য যা হবে বাসাতেই। বি’স্ম’য়ের শেষ নেই ফরিদার।

তারপর দিনের পর দিন স্বা’মীর সহযোগিতায় নিজ বাসাতেই প’র’কী’য়া প্রে’মিকের স’ঙ্গে মি’লি’ত হতেন ফরিদা। পাশের রুমে বসে থাকতেন আনোয়ার। মনির ভেবে কূল পান না, এটা কিভাবে স’ম্ভব। কয়েক দিনের মধ্যেই বি’ষয়টি প’রিস্কার হয়। মনিরের কাছে আনোয়ার দা’বি করেন পাঁচ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে গো’পন ক্যামেরায় ফরিদার স’ঙ্গে অ’ন্তর’ঙ্গ মু’হূর্তের ভি’ডিও ধারণ করেছেন তিনি। টাকা না পেলে ব’উকে দিয়ে ধ”. মা’ম’০লা দেবেন। প্রয়োজনে ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভা’ইরাল করে দেবেন। একই সুরে কথা বলেন ফরিদাও। আনোয়ার তাকে আগেই বুঝিয়েছেন। দরকার টাকা। এক মনির গেলে আরেক মনির আসবে। মনিরের অভাব নেই।

ভগ্নিপতিকে না জানিয়ে কয়েক দফায় এক লাখ টাকা দেন মনির। তারপর দোকানের বেহাল অবস্থা দেখে নজর দেন ভগ্নিপতি। জানতে পারেন নে’পথ্যের কা’হিনী। এরমধ্যে হু’ম’কি দিতে থাকেন আনোয়ার। এক পর্যায়ে দোকান ছা’ড়েন মনির। এমনকি ঢাকা ছে’ড়ে চলে যান গ্রামের বাড়িতে। একটি জি’ডি করেন। শেষ পর্যন্ত স্থা’নীয় এক নেতার মাধ্যমে বি’ষয়টির সমাধান হয় বলে জানান মনিরের ভগ্নিপতি।