মিশাকে তো আগে যাত্রা ছাড়া কিছু করতে দেখিনি: নানা শাহ (ভিডিও)

| আপডেট :  ১৪ আগস্ট ২০২২, ০৭:০৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৪ আগস্ট ২০২২, ০৭:০৩ অপরাহ্ণ

যাত্রাকে আমি ঘৃণা করতে পারব না। কারণ যাত্রা আমার সংস্কৃতি। এটা আমার মূল। কিন্তু আমি যাত্রার অভিনয় ফিল্মে করতে পারি না। ফিল্মে আমাকে ফিল্মের ফ্লেভার রাখতে হবে, নাটকে নাটকের ফ্লেভার। তো মিশাকে আমি তো যাত্রা ছাড়া আগে কিছু করতে দেখিনি বলে জানিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা নানা শাহ।

শনিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে ‘দিন দ্যা ডে’ সিনেমার এক প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অভিনেতা নানা শাহ। এ সময় অভিনেতা ও প্রযোজক অনন্ত জলিল ও অভিনেত্রী বর্ষা উপস্থিত ছিলেন।

নানা শাহ বলেন, হয়তো আপনারা আমাকে বলতে পারেন, নানা শাহ আপনি কি এমন অভিনেতা। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, আপনারা কখনো কি শুনেছেন, আমি কারো গীবত করেছি।

তিনি বলেন, একটা শিল্পী একজন শিল্পীর বিরুদ্ধে, একটা ডিরেক্টর একজন ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে কিংবা একটা প্রডিউসারের একজন প্রডিউসারের বিরুদ্ধে কথা বলা আমি প্রচণ্ডভাবে ঘৃণা করি।

এ সময় অনন্ত জলিলের বিষয়ে খল-নায়ক মিশা সওদাগরের ব্যাপারেও কথা বলেন নানা শাহ। তিনি বলেন, মিশা সওদাগর বলেছেন, অনন্ত জলিল যে সিনেমা বানিয়েছেন তাতে আমাদের দেশের কোনো উপকার হয়নি। আমার প্রথম কথা হলো, একজন শিল্পীর এটা বলা উচিত নয়। যে কিনা এই অনন্ত জলিলের পাঁচটি সিনেমায় কাজ করেছে।

নানা শাহ আরও বলেন, যেকোনো বিপদে-আপদে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান দু’জনেই অনন্ত জলিলের অফিসে বসেছেন। তার কাছ থেকে উপকারটা নিয়েছেন। এতকিছু নেয়ার পর তার (অনন্ত জলিল) বিরুদ্ধে কথা বলাটা গীবতকারী ছাড়া আর কিছু বলতে পারি না।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিশা সওদাগর বলেন, অনন্ত জলিলের দাবি শত কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে দিন দ্যা ডে সিনেমা। এতে হয়তো দর্শক বিনোদন পেয়েছে। কিন্তু তাতে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কোনো লাভ হয়নি।

খল-নায়ক ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে আরও বলেন, তিনি (অনন্ত জলিল) এই মোটা অংকের টাকা দিয়ে ফিল্ম স্টুডিও, প্রোডাকশন হাউজ, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করলে সেখানে অভিজ্ঞ, প্রবীণ ও এই সময়ের মেধাবী নির্মাতা এবং যোগ্য শিল্পীর কাজের সুযোগ পেতেন। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি হবে।

তিনি আরও বলেন, শত কোটি টাকায় একটি সিনেমা নির্মাণ না করে এই অর্থ বছরে অন্তত অর্ধশত সিনেমা করলে তাতে ইন্ডাস্ট্রির চেহারা বদলে যেতে বাধ্য। এর মাধ্যমে অনন্ত জলিল ‘কালচারাল ইমপোর্টেন্ট পার্সন’ ও ইন্ডাস্ট্রির জীবন্ত কিংবদন্তি হতে পারবেন।