শুক্রবার থেকে রেল স্টেশনগুলোতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

| আপডেট :  ২১ জুলাই ২০২২, ০৮:৩৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ জুলাই ২০২২, ০৮:৩৩ অপরাহ্ণ

রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি বলেছেন, ‘টিকিট কাটতে যাত্রী হয়রানী, টিকিট কালোবাজারি বন্ধসহ ছয় দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। শুক্রবার থেকে দেশের সব স্টেশনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করবে। কেউ না এগিয়ে এলে আমি একাই আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি এসব কথা জানান।রনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ৭ জুলাই থেকে রনি একাই প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন রেলের দুর্নীতি, অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে। তবে সময়ের সাথে সাথে সাধারণ যাত্রীদের সমর্থন পাচ্ছে এই শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা ছিল রনির। এ সময় তার প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়া শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল কমলাপুর রেল স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাধার মুখে পড়ে।এ সময় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে রেলের সকল অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এর আগে বুধবার ঢাবি শিক্ষার্থী রনির অভিযোগের ভিত্তিতে টিকিট কাটতে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় সহজ ডটকমকে দু’লাখ টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার অধিদফতর।

তার আগের দিন রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি নিরসনে ছয় দফা দাবিতে রেল ভবনে স্মারকলিপি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহিউদ্দিন রনি। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রেলের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারকে ওই স্মারকলিপি দেন তিনি।

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো-
টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহজ.কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি হয়রানির ঘটনায় তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ করতে হবে।অনলাইন-অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।যাত্রী চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক মনিটর ছাড়াও শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেল সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।