ডা. সাবরিনা-আরিফের ১১ বছরের কা’রাদণ্ড

| আপডেট :  ১৯ জুলাই ২০২২, ১২:৪২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৯ জুলাই ২০২২, ১২:৪২ অপরাহ্ণ

ক’রোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মা’মলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ আ’সামির ১১ বছর করে কা’রাদ’ণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আ’দালত। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যা’জিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কা’রাগার থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যা’জিস্ট্রেট (সিএমএম) আ’দালতে হাজির করা হয়। তাদের রাখা হয় আ’দালতের হাজতখানায়। পরে তাদের আ’দালতে ওঠানো হয়।

গত ২৯ জুন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যা’জিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রাষ্ট্র ও আ’সামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৯ জুলাই দিন ধার্য করেন।এর আগে গত ১১ মে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যা’জিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আ’দালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আ’সামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।

গত ২০ এপ্রিল একই আ’দালতে সাক্ষ্য দেন মেট্রোপলিটন ম্যা’জিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে। এ মা’মলায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন বিভিন্ন সময়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মা’মলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ক’রোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে ভুয়া রিপোর্ট দেয়। এ অ’ভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অ’ভিযান চা’লিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বি’রুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মা’মলা করলে দুজনকে গ্রে’ফতার করা হয়।

২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আ’দালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বি’রুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডি’বি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটভুক্ত অন্য আ’সামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও এবং জেবুন্নেসা।

চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্র’তারণার মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়। বাকিরা প্র’তারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন বলে জানানো হয়।একই বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আ’সামিদের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ গঠন করেন। সেসময়ও তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।