টম ক্রুজ পারলে আমি কেন পারবো না? অনন্ত জলিলের প্রশ্ন

| আপডেট :  ১৭ জুলাই ২০২২, ০৮:১৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৭ জুলাই ২০২২, ০৮:১৪ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশের একজন প্রতিষ্ঠিত গার্মেন্টস ব্যবসায়ী অনন্ত। অনন্ত জলিলকে নিয়ে প্রচুর মানবিক গল্প যেমন রয়েছে, তেমনই কিছু সমালোচনাও রয়েছে। এবারের ঈদে এই অভিনেতার “দিন- দ্য ডে” চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে।অনন্ত জলিল হলিউড অভিনেতা টম ক্রুজকে অনুসরণ করেন।

শুধু তাই নয় টম ক্রুজ আরব আমিরাতের সুউচ্চ ভবন থেকে লাফ দিয়েছিলেন যেমন তেমনইভাবে অনন্ত জলিলও লাফ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অনুমতি দেবে না বলে সে পথে পা বাড়াননি। তবে একেবারে যে পিছুটান দিয়েছিলেন তা নয়। তাঁর ভাষয়, টম ক্রুজ যদি এতো উঁচু থকে লাফ দিতে পারে, রতাহলে তিনি কেন পারবেন না? আর এ কারণেই অনন্ত থাইল্যান্ডের বহুতল ভবন থেকে লাফ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

এ প্রসঙ্গে অনন্ত জলিল বলেন, মিশন ইম্পসিবল সিনেমায় টম ক্রুজ যখন বুর্জ আল খলিফার চূড়া থেকে জাম্প করে, আমার তখন থেকেই ইচ্ছে এরকম উঁচু বিল্ডিং থেকে লাফ দেওয়ার। বুর্জ খলিফায় ওরকম শুটিং করতে আমাদের কেউ দিবেওনা। টম ক্রুজ বলে হয়তো দিয়েছে। আমি চিন্তা করলাম থাইল্যান্ডের এমন উঁচু একটা বিল্ডিং থেকে শট দেব।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জলিল বলেন, ব্যাংককে পাতু নামের এমন একটা বিল্ডিং আছে। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বললাম। তারা নানা কারণ দেখিয়ে রাজি হচ্ছিল না। তখন ওরা দিলো না। পাতায়াতে একটা বিল্ডিং ভাড়া নিলাম ২৩ তলা। ঐ ২৩ তলা থেকে জাম্প করার জন্য আমি যখন সম্পূর্ণ রেডি, জাম্প না ঠিক বিল্ডিংয়ে পা দিয়ে হেঁটে নেমে যাওয়া।

ও (বর্ষা) যখন কার্নিশের কাছে গিয়ে দেখলো আমাকে। তখন এসে বললো, “তুমি এই শট দিতে পারবা না”। এটা কিছুতেই সম্ভব না। এভ্রিথিং রেডি, শট দিতে পারবো না মানে? আমাকে শট দিতেই হবে। ও তখন মন খারাপ করে ক্যারাভানে এসে বসে রইলো, বললো, “আমি শট দিতে দিব না”।

এও অভিনেতা বলেন, সবসময় এই ধরনের কাজগুলো করতে চাই। আমার মনে হয় আরেকজন করতে পারলে আমি পারবো না কেন? এই ধরনের কাজগুলো আমার মনে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে।

ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ও প্রযোজিত ছবি ‘দিন দ্য ডে’। বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটির বাজেট ১০০ কোটি টাকা। বাজেটের কারণে বেশ আগে থেকেই আলোচনায় ছবিটি। মুক্তির পর সেই আলোচনা জমে উঠে আরও।

এই সিনেমার বাংলাদেশের অংশের প্রযোজক অনন্ত জলিল। সিনেমায় ১০০ কোটি টাকা বাজেটের বিষয়টি ক্লিয়ার করেন তিনি। অনন্ত জানান, বাংলাদেশে শুটিংয়ে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, তিনি সেই অংশটুকুতেই লগ্নি করেছেন। অন্যান্য দেশের শুটিংয়ে ব্যয় বহন করেছে ইরানি প্রযোজক।