হেলিকপ্টারযোগে মাওয়া পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

| আপডেট :  ২৫ জুন ২০২২, ১০:১২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৫ জুন ২০২২, ১০:১২ পূর্বাহ্ণ

সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্ধোধন হচ্ছে আজ। সেতু উদ্বোধন করতে হেলিকপ্টারযোগে মুন্সিগঞ্জের দোগাছি পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া-১-এ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১০টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার মাওয়া পৌঁছেছে।

সুধীসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও মোনাজাতে অংশ নেবেন। পরে টোল দিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে জাজিরা প্রান্তে গমন, ফলক উন্মোচন ও মোনাজাত করবেন। পরে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, জনসভায় ১০ লাখ মানুষ সমবেত হবেন। সেখানে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এদিকে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনে পুরো মাওয়াজুড়ে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‍্যাব, সেনা সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে কাজ করছে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

হাইওয়ে, ট্রাফিক ও জেলা পুলিশের পাশাপাশি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, নৌ পুলিশ, র‍্যাবসহ সবাই একযোগে মোতায়েন রয়েছে। স্থল, নৌ আকাশপথে চলছে টহল। নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাওয়া এলাকায় বন্ধ রয়েছে সবধরনের দোকানপাট ও সাধারণ যানবাহন চলাচল। বন্ধ রয়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুটের নৌযান চলাচলও। বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর সড়ক পথ রোববার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের যানচলাচল শুরু হবে।

২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।

পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি।

বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্বপ্নের কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।