আরও ভয়াবহ হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি, একের পর এক বিদ্যুৎহীন ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকা

| আপডেট :  ১৮ জুন ২০২২, ১২:৫৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৮ জুন ২০২২, ১২:৫৪ অপরাহ্ণ

বৃষ্টি-উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় দেশজুড়ে বন্যার ভয়াবহতা বাড়ছে। পানিতে ভাসছে সিলেট-সুনামগঞ্জ। শেরপুরে পানিতে ডুবে মারা গেছে দু’জন। অন্যদিকে চট্টগ্রামে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট পাহাড় ধসে মারা গেছেন ৪ জন।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটসহ ৬ উপজেলার শতভাগ এলাকা এখন বন্যাকবলিত। পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ। সিটি এলাকাসহ সদর উপজেলার ৫০ ভাগ ডুবেছে বানের জলে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। পানি ঢুকেছে বাড়িঘরে। ৪৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন বানভাসী মানুষ।

সাব স্টেশনে পানি ওঠায় দক্ষিণ সুরমা, কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বন্ধ আছে ওসমানী বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা। বন্যা মোকাবেলায় কাজ করছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। বিতরণ করা হচ্ছে ত্রাণ।

বন্যার কারণে সুনামগঞ্জ এখন যেনো বিচ্ছিন্ন জনপদ। সড়কে পানি ওঠায় ব্যাহত হচ্ছে সিলেটের সাথে যান চলাচল। সদরের সাথে সব উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গোটা জেলা, নেই ইন্টারনেট সংযোগও। চরম দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছে বানভাসী মানুষ। সুনামগঞ্জে দুর্গতদের উদ্ধারে কাজ করছে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে পানি।

এদিকে, নেত্রকোণার বারহাট্টায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন। বন্ধ আছে ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে ট্রেন যোগাযোগ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। ১৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য জেলা ও উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। শেরপুরের ঝিনাইগাতীঁতে বন্যার পানিতে নিখোঁজ দু’জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তারা হলেন-বাঘেরভিটা এলাকার বৃদ্ধ আশরাফ আলী ও কালাম নামে এক যুবক। জামালপুরের বিভিন্ন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।

এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ডুবেছে নিম্নাঞ্চল। বন্যার অবনতি হয়েছে উত্তরে। ডুবেছে কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসী মানুষ।