সব
বাংলাদেশ শিল্পী সমিতিতে গতকাল রবিবার অভিনেতা ওমর সানী অভিযোগ দিয়েছেন, চার মাস ধরে তাঁর স্ত্রী মৌসুমীকে জায়েদ খান বিরক্ত করে আসছেন। এই ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই ওমর সানীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করলেন মৌসুমী। মৌসুমী বললেন, ‘জায়েদকে আমি স্নেহ করি, সে আমাকে সম্মান করে। সে আমাকে কটূক্তি-বিরক্তি কিছুই করেনি।
জায়েদের বিরুদ্ধে অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে জানালেন মৌসুমী। এ সময় ওমর সানীর ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেন ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ খ্যাত অভিনেত্রী। তবে জায়েদের মন্তব্য, ওমর সানী তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে এমন কাজ করছেন। যে ‘চক্রান্ত’ মৌসুমী রুখে দিয়েছেন বলে জানালেন এ অভিনেতা। সোমবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন জায়েদ খান।
এদিন দুপুরে মৌসুমীর বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার পরপর দুপুরে ফেসবুক লাইভে আসেন ওমর সানী। লাইভে তিনি বলেন, আমার ৩২ বছরের ফিল্ম ক্যারিয়ারে আজ পর্যন্ত কেউ আঙুল তুলে কথা বলতে পারবে না। বিশেষ করে আমার স্ত্রীকে (মৌসুমী) আমি বিয়ে করেছি ২৭ বছর। আমার দুটি ছেলে-মেয়ে আছে। আমি গতকাল জায়েদ খানের বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে একটি অভিযোগ করেছি। সেই অভিযোগের বিষয়ে আমি এখনো অটল।
ছেলের কাছে প্রমাণ রয়েছে জানিয়ে ওমর সানী বলেন, মৌসুমী কী ভেবে জায়েদ খানকে ভালো বলেছে আমি জানি না। এই ঘটনাটি সামনে আমার অভিভাবক হিসেবে আমার ছেলে ফারদিন সবাইকে পরিষ্কার করবে। আমি চাইনা সংসার জীবনের এই ২৭ বছরে এসে পরিবারের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবোঝি হোক। কিন্তু একজন বাইরের মানুষ এসে আমাদের সংসার ভাঙার চেষ্টা করছে। আপনারা নিজেরাই জানেন সে মানুষটি কে।
এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, কারো কাছেই প্রমাণ নেই। প্রমাণ থাকলে দেখাক। প্রমাণ ছাড়া বারবার এভাবে বলার কিছুই নেই। আর মৌসুমী আপা তো সবকিছু পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এরপর তো আর কিছু বলার থাকে না। যদি প্রমাণ থাকে তাহলে নিয়ে হাজির হবে সমস্যা কী?
তাহলে কী এমন কারণে ওমর সানী এসব করছেন? জায়েদ এ প্রসঙ্গে বলেন, এখানে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন রয়েছে। সানী ভাই তৃতীয় পক্ষের কথা শুনে এমন কাজ করছেন। তৃতীয়পক্ষ ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে সানী ভাই সেই টোপ গিলেছেন। সামনে কোর্টের রায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এসব করা হচ্ছে। কোর্টের রায়ের পর তো ওরা আর কিছু করতে পারবে না। যার ফলে সমিতি থেকে আমার সদস্যপদ বাতিল করার একটা পদ্ধতি বের করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু মৌসুমী আপা সেই চক্রান্তের ঘৃণ্য চেষ্টাকে রুখে দিয়েছেন। সূত্রঃ কালের কণ্ঠ