পুলিশের কব্জি বি’চ্ছিন্নকারী আসামি গু’লিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার

| আপডেট :  ১৯ মে ২০২২, ১১:৩৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৯ মে ২০২২, ১১:৩৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আ’সামি ধরতে গিয়ে সম্প্রতি পুলিশ সদস্য জনি খানের কব্জি বিচ্ছিন্নের ম’র্মান্তিক ঘটনায় মূল আ’সামি কবির আহম’দকে গ্রে’ফতার করেছে র‍্যা’ব।বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দিনগত রাতে গু’লিবিদ্ধ অবস্থায় লোহাগাড়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রে’ফতার করা হয়।রাতে র‍্যা’বের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ১৫ মে সকাল ১০টার দিকে লোহাগাড়া থানার পদুয়া ইউনিয়নের লালারখিল এলাকায় আ’সামির ধা’রালো দা’য়ের কো’পে পুলিশ সদস্য জনি খানের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় মূল আ’সামি স’ন্ত্রাসী কবিরকে অ’ভিযান চা’লিয়ে লোহাগড়ার পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রে’ফতার করা হয়। এ সময় তার একজন সহযোগীকেও গ্রে’ফতার করা হয়েছে।

রাতেই র‍্যা’ব-৭ এর অধিনায়ক লে’ফটেন্যা’ন্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে লোহাগাড়া থানাধীন বড়হাতিয়া ইউনিয়নের গহীন পাহাড়ে পুলিশ কনস্টেবল জনি খানের ও’পর হা’মলাকারী কবির আহম’দকে গ্রে’ফতারে অ’ভিযান চা’লায় র‌্যা’ব। এসময় র‌্যা’ব সদস্যদের ও’পর গু’লি ছোঁড়া হয়। দু’র্বৃত্তদের সঙ্গে র‌্যা’বের ‘ব’ন্দুকযু’দ্ধ’ হয়েছে। গু’লিবিদ্ধ অবস্থায় কবিরকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। শুক্রবার এ বি’ষয়ে আমরা বিস্তারিত জানাবো।

গত ১৬ মে রাজধানীর মোহাম্ম’দপুরের আল মানার হাসপাতালে পুলিশ সদস্য জনি খানের হাতের কবজি টানা ১০ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় জোড়া লাগানো হয়।অপারেশরের পর আল মানার হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শহিদুল্লাহ বলেন, একজন মানুষের সম্পূর্ণ দ্বিখ’ণ্ডিত হয়ে পড়ে যাওয়া হাতে অনেকগুলো অংশ থাকে। সেগুলোকে আলাদা করে সিরিয়ালি বের করতে হয়। এরপর টানা প্রায় ১০ ঘণ্টার অপারেশনটি করতে হয়েছে। অপারেশনটি ছিল খুবই জটিল।

তিনি বলেন, রো’গী এখন পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত। আমি দেখেছি তার হাতের স্বাভাবিক রঙ চলে এসেছে। নার্ভ যেগুলো জোড়া দেওয়া হয়েছে, সেগুলোরও ফাংশন চলে আসতে শুরু করেছে। হাতে র’ক্ত চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় হাতেও উষ্ণতা চলে এসেছে।

রো’গী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা কতটুকু রয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মো. শহিদুল্লাহ বলেন, আমাদের হাসপাতালে এখন পর্যন্ত এমন যেসব রো’গীর চিকিৎসা দিয়েছি তারা প্রত্যেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। আশা করছি তিনিও (জনি) শিগগির সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবেন।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, আ’সামি ধরতে গিয়ে আ’সামির দা’য়ের কো’পে কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া পুলিশ সদস্য জনি খানের চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছে পুলিশ সদর দপ্তর। তার সুচিকিৎসার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্দেশনা দিয়েছেন। পুলিশের কল্যাণ ট্রাস্টসহ জে’লা পুলিশ থেকেও তার চিকিৎসায় সহায়তা করা হবে। নিজের জীবনকে বাজি রেখে সাহসী কাজের জন্য ভূমিকা রাখায় আর্থিক অনুদানও তাকে দেওয়া হবে। এছাড়া পুলিশ সদর দপ্তর সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আ’সামি কবির আহম’দ (৩৫) পদুয়া ইউনিয়নের লালারখিল এলাকার মৃ’ত আলী হোসেনের পুত্র। তিনি এলাকায় বে’পরোয়া ও দুর্ধর্ষ হিসেবে পরিচিত। নানা অ’পরাধে জ’ড়িত তিনি।

লোহাগাড়া থানার এসআই ভক্ত চন্দ্র দত্ত, এএসআই মজিবুর রহমান, কনস্টেবল জনি খান ও শাহাদাত হোসেন অ’ভিযানে অংশ নেন। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কবির আহম’দ ধা’রালো দা দিয়ে কনস্টেবল জনি খানের হাতে কোপ দিয়ে পা’লিয়ে যান। দা’য়ের কো’পে জনির কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।