ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরো কমল

| আপডেট :  ১৭ মে ২০২২, ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৭ মে ২০২২, ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

অর্থনীতি: গত কয়েকদিনে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে অস্বাভাবিক হারে। সর্বশেষ গত ২০ দিনে টাকার মান কমেছে ১টাকা ৩০ পয়সা। শুধুমাত্র গতকাল একদিনে কমেছে ৮০ পয়সা।

বিশ্লেষকদের দাবি, দেশের বাজারে মার্কিন ডলারের চাহিদা বেড়েছে। আমদানি ব্যয় পরিশোধ করার জন্য এই চাপের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বাজারে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় টাকার দরপতন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক উদ্যোগ নিয়েও ডলারের দাম এর উদ্ধগতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।

গতকাল সোমবার আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। এক দিন আগেও এক ডলারে লেগেছিল ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা। আর গত ১০ মে ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা এবং ২৭ এপ্রিল ছিল ৮৬ টাকা ২০ পয়সা।

ব্যাংকগুলো নগদ ডলার বিক্রি করছে এর চেয়ে পাঁচ থেকে ৭ টাকা বেশি দরে। ব্যাংকের বাইরে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ টাকায়।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দেশে ব্যাপক হারে আমদানির চাপ বেড়েছে। ফলে আমদানির ব্যয় পরিশোধে বাড়তি ডলার লাগছে। কিন্তু সে তুলনায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়েনি। ফলে ব্যাংকব্যবস্থা ও খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের ওপর চাপ বাড়ছে, যার কারণে টাকার বিপরীতে বাড়ছে ডলারের দাম। বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকগুলোর চাহিদার বিপরীতে ডলার বিক্রি করছে। কিন্তু তার পরও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানি বেশি, এ কারণে ডলারের ওপর চাপ পড়েছে। বাজার বিবেচনা করে ডলারের রেট ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। ’ তিনি জানান, ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার সরবরাহ করছে। এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর চাহিদার বিপরীতে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করা হয়েছে। যখনই প্রয়োজন হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার সরবরাহ করছে।

সিরাজুল ইসলাম আশার কথাও শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যের আমদানিতে গড় মার্জিনসহ আমরা বিভিন্ন বিধি-নিষেধ দিয়েছি। আশা করছি শিগগিরই বাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে।