প্রধানমন্ত্রীর উপহারের অধিকাংশ ঘরে ফাটল, আতঙ্কে আশ্রয়ণের বাসিন্দারা

| আপডেট :  ১৬ মে ২০২২, ০৮:০০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ মে ২০২২, ০৮:০০ পূর্বাহ্ণ

মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না- এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের মতো টাঙ্গাইলের ঘাটাইলেও ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেয়া হয়। সেই ঘরগুলো বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এছাড়াও পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যাসহ রয়েছে নানাবিধ সমস্যা। ফলে ঘরগুলো দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। উপজেলার গৌরিশ্বর এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪৪টি ঘর রয়েছে। ঘর নির্মাণের কিছুদিন না যেতেই বেশিরভাগ ঘরগুলোতে দেখা দেয় ফাটল।

পরে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রয়ণ কেন্দ্র পরিদর্শন করে তা মেরামতের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বর্তমানে আবারো ঘরগুলোতে বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়। খসে পড়ছে ঘরের পলেস্তারা। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অসহায় পরিবারগুলো ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই এমন দশা হয়েছে।

এদিকে গণমাধ্যমের খবরে তড়িঘড়ি করে ফাটল মেরামতের কাজে হাত দেয় উপজেলা প্রশাসন। তবে এমন কাজে নানা আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ২৭৬টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে গৌরিশ্বর এলাকায় ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয় ৪৪টি ঘর। ঝড় আসলে আতঙ্কে দিন কাটে বাসিন্দাদের। এতে করে যেকোনো সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।

উপজেলার গৌরিশ্বর আশ্রয়ণ প্রকল্প্রের ১ নম্বর ঘরের মাজেদা, ৫ নম্বর ঘরের পারভিন ও ১১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা লিজাসহ আরও অনেকেই বলেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে অনেক খুশি। কিন্তু ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝড়ের সময় শিশু সন্তান নিয়ে আতঙ্কে দিন পার করতে হচ্ছে। তারা আরও বলেন, যে খুশিতে ঘরে উঠছিলাম তা আতঙ্কে রূপ নিয়েছে। মাঝে মধ্যে ফাটল মেরামত না করে স্থায়ী মেরামত ও ঘর পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা। আশ্রয়ণ প্রকল্পে রাস্তার সমস্যা।

আশেপাশে কোনো মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। অনেক দূরবর্তী স্থানে স্কুলে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে যেত হয়। এতে কাজের ক্ষতি হয়। এ ব্যাপারে ঘাটাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, মাটির কারণে কয়েকটি ঘরে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারদের বলে তা মেরামত করে দেয়া হবে। ঘর নির্মাণে আগে মাটি পরীক্ষা করে নেয়া হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এই কর্মকর্তা। সূত্রঃ মানবজমিন