সব
চারটি লিজিং কোম্পানি থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়েনেয়া পিকে হালদার বিদেশে যেমন টাকা পাচার করেছেন।তেমনি দেশের মধ্যেও গড়ে তুলেছেন নামে বেনামে ৩৫টির বেশিপ্রতিষ্ঠান। বর্তমানেদুইএকটা ছাড়া সবগুলোই বন্ধ। এমনকি ভবন ভাড়ার টাকাওবকেয়া রেখেছে পিকে ও তার দোসররা।
আর, সঞ্চিত টাকা হারিয়ে দ্বারে দ্বারেঘুরছেন শত শত মানুষ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানধসিয়ে দিয়ে শত শত মানুষকে নিঃস্ব করার বিরল প্রতিভার অধিকারী ছিলেন পিকে হালদার।রাজধানীর মতিঝিলের সিটি সেন্টারের ১২ তলায় রয়েছে কেএইচবিসিকিউরিটিজের অফিস। যারমালিকানা ছিলো পিকে হালদারের পিএন্ডএল ইন্টারন্যাশনালের নামে।
এই কেএইচবি সিকিউরিটিজের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি দখলে নিতে শেয়ার কেনাবেচা করে আথির্ক খাতের আলোচিত–সমালোচিত পিকে হালদার।এরপর কৌশলে পুরাতন কর্মচারীদের ছাঁটাই করে তাদেরপছন্দের কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ ওবিদেশে পাচার করতেন।
রাজধানীর ৮০ পান্থপথের ডিএইচ টাওয়ারে ৮ম ও ১৪ তলায় ছিলপিকে হালদারের আলোচিত রেপটাইলস খামারের অফিস। আরও ছিলো- নর্দান জুট, রহমান কেমিক্যালস, এ্যানন কেমিক্যালসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অফিস।পিকে দেশ ছাড়ার পর এসব প্রতিষ্ঠান চালাতে পিকের সহযোগীরাভাড়া বকেয়া রেখেই চলে গেছে বলে জানান ভবনের ব্যবস্থাপক এস এম মনসুর।
পিপলস লিজিং, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংসহচারটি লিজিং কোম্পানির তহবিল লোপাট করে নামে-বেনামে পিকে হালদারের৩০টির বেশি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন।আর পিকে ও তার সহযোগীদের দশ হাজার কোটির বেশি টাকা লোপাটেসারাজীবনের সঞ্চয় হারিয়েছেন হাজারো আমানতকারী।
সরকারি একটি নজরদারি সংস্থার তথ্য বলছে, শ’ ওয়েলাস বাংলাদেশ এবং পিএন্ডএল হাল হোল্ডিংস ইনক নামেকানাডার দুটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও উগান্ডা ও মালয়েশিয়ায় সম্পদ পাচার করেছেন।আর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আটক পিকের বেশ কয়েকটি বাড়ি সিলগালাকরেছে দেশটি গোয়েন্দা সংস্থা। সেগুলোদ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পত্তিগুলো বিক্রি করে দেশে এনে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিশোধের দাবিজানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।