সাংবাদিক থেকে বিসিএস ক্যাডার মনদীপ

| আপডেট :  ২৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

বাবা ছিলেন সরকারি চাকুরীজীবী। চাকরিসূত্রে ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মূলত বাবাকে দেখেই ছোটোবেলায় সরকারি অফিসার হওয়ার ইচ্ছে তৈরি হয়েছিলো মনদীপের। কিন্তু বড় হওয়ার পর ধীরে ধীরে ক্রিকেটের থেকে শুরু করে সবকিছু হওয়ার ইচ্ছে তৈরি হয়। কিন্তু মনের কোণে কোথাও ইচ্ছে ছিলো সরকারি চাকরিজীবী হবেন৷ আর শেষপর্যন্ত সেই ইচ্ছে পূরণ করতেও সক্ষম হন মনদীপ।

বর্তমানে মনদীপ ঘরাই স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক। তার জন্ম বাগেরহাটে। বাবা অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা রণজিত কুমার ঘরাই। মা বাসন্তী ঘরাই গৃহিণী। এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছেন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি

মনদীপ ঘরাই জানান, ছোটোবেলায় তার পরিবার থেকে সবাই চাইতো তিনি যেনো বেশি বেশি পড়েন। তবে তিনি ছিলাম ফাঁকিবাজ ছাত্রদের দলে। রেজাল্টও করতেন মাঝারি মানের। এরপর পড়ালেখা শেষে তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সাংবাদিকতা দিয়ে। প্রথমে প্রিন্ট, তারপর ইলেকট্রনিক মিডিয়া। রিপোর্টিং করতেন, নিউজ পড়তেন। মনের কাজ যখন চাকরি হিসেবে করতে হয়, তখন ভালো লাগাটা বেশি হয়। কিন্তু মনের মধ্যে সবসময় ছিলো শৈশবে বাবার মতো অফিস করার স্বপ্ন! তাই অবচেতন মন কখন যে ওইদিকে টেনে নিয়ে গেছে টের পাইনি। আর এরপরই দেন বিসিএস পরীক্ষা এবং ২০১৩ সালে বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়ে যান।

বর্তমানে মনদীপ ঘরাই স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক। সেখানে ইউনিয়ন পরিষদ অর্থাৎ তৃণমূল পর্যন্ত উন্নয়ন কাজ মনিটরিংয়ের জন্য ডোমেইন এক্সপার্ট হিসেবে এমআইএস সিস্টেম তৈরির কাজ সমন্বয় করছেন

মনদীপ ঘরাই জানান, ইচ্ছে থাকলে সবজায়গাই কাজ করা সম্ভব। সরকারি চাকরির ছয় বছর হলো। কাজ খুবই উপভোগ করি। বিশেষ করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলে, তাদের মুখে হাসি ফোঁটাতে পারলে নিজেকে একটু হলেও সফল মনে হয়। চাকরির পাশাপাশি তিনি বর্তমানে লেখালেখি ও সমাজকর্মে মনোনিবেশ করেছেন। যশোরের অভয়নগরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও থাকার সময় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করেছিলেন তাদের সমন্বয়ে জলাবদ্ধ এলাকার ১০ কিলোমিটার খাল থেকে কচুরিপানা অপসারণ করেছিলাম। এছাড়া একযোগে চার লাখ তালবীজ রোপণ করেছিলাম তরুণদের নিয়ে।