যেসব কারণে শিক্ষিত নারীদের বেশি ডিভোর্স হচ্ছে

| আপডেট :  ২৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:৪১ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:৪১ অপরাহ্ণ

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে ঢাকায় দৈনিক ৩৯ টি ডিভোর্স হয় এবং ডিভোর্স প্রদানের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে নারীরা। আর এদের মধ্যে বড় সংখ্যক ই শিক্ষিত এবং কর্মজীবী নারী। এরপর থেকে অনেকেই বলছেন নারীরা শিক্ষিত হওয়ায় স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছেন।

তবে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রকৃতপক্ষে স্বেচ্ছাচারীতা নয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আত্মসম্মানবোধের জায়গা থেকে এবং নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতেই ঘটছে ডিভোর্সের ঘটনা। পূর্বে নারীরা শিক্ষিত না হওয়ায় স্বাবলম্বী ছিলেন না, তাই নির্যাতিত হলেও তারা নির্যাতন মেনে নিয়ে সংসার টিকিয়ে রাখতেন। কারণ ডিভোর্স হলে তাদের পরিবারও তাদেরকে গ্রহণ করতো না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। মেয়েরা শিক্ষিত হয়ে স্বনির্ভর হচ্ছে। তাই নির্যাতিত হলে সহজেই তারা ডিভোর্সের পথ বেছে নিচ্ছেন।

এছারা, পূর্বে সংসারে নারীদের মতামতের গুরুত্ব দেয়া হতো না। আর নারীরাও শিক্ষিত নাো হওয়ায় স্বামীকে দেবতা জ্ঞান করতেন। কিন্তু একজন শিক্ষিত নারী তার আত্মসম্মান সম্পর্কে সচেতন। তিনি স্বামীকে দেবতা হিসেবে নন, চান বন্ধু হিসেবে। একজন শিক্ষিত নারী প্রত্যাশা করেন সংসারে তার মতামতেরও সমান গুরুত্ব থাকবে কিন্তু এখনও অনেক পুরুষই এটা মেনে নিতে পারেন না। আর এই কারনেও শিক্ষিত নারীরা অনেকসময় ডিভোর্সের পথ বেছে নিচ্ছেন।

এছাড়া, এসবের বাইরে, চাকরি বা পড়ালেখার সূত্রে অন্য কারো সাথে সম্পর্ক জড়িয়ে যাওয়ার ফলেও কিছু সংখ্যক ডিভোর্সের ঘটনা ঘটছে। তবে সার্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সংসারে স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্মান ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পরে ডিভোর্সের এই ক্রমবর্ধমান হার হ্রাস করা সম্ভব।