পছন্দের পাত্র-পাত্রীকে বিয়েতে পরিবারকে রাজি করানোর ১০ উপায়

| আপডেট :  ২৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৪০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৪০ অপরাহ্ণ

প্রাচীনকাল থেকে পরিবার গঠনের সমাজ স্বীকৃত পদ্ধতি বিয়ে। তবে বিয়ে শুধুমাত্র একটি বন্ধন ই নয়, বিয়ে শব্দটির সাথে রয়েছে একধরনের আনন্দের মিশ্রণ রয়েছে। একটি বিয়ের আয়োজনে সাধারণত সমগ্র পরিবারে আনন্দ বয়ে যায়। কিন্তু অনেকসময় আবার দেখা যায় ভিন্ন চিত্রও।

অনেক সময়েই পছন্দ-অপছন্দের দ্বন্দ্বে পিষ্ট হতে হয় ছেলে বা মেয়েকে। বিশেষ করে বর্তমান সময়ের তরুণ-তরুণীদের প্রায় সকলেরউ নিজস্ব পছন্দ থাকে। কিন্তু অনেকসময়েই বাবা-মা এই পছন্দে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান। এই বাবা-মায়ের রাজি না হওয়া থেকে বিচ্ছেদের সাগরেও ভাসতে হয় অনেককে। আবার বিয়ের ক্ষেত্রে যে শুধু প্রেম বা ভালোবাসা নিয়েই জটিলতায় পড়তে হয় এমন নয়।প্রেম-ভালোবাসার বাইরেও পাত্র-পাত্রী পছন্দ হতে পারে। পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বা যে কোনো পারিপার্শ্বিক কারণে বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী পছন্দ হতে পারে। কিন্তু প্রেম-ভালোবাসা হোক বা যে কোনোভাবে হোক; পছন্দের পাত্র-পাত্রীকে বিয়ের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় বেঁকে বসে পরিবার। এমন সমস্যায় যারা পড়েছেন বা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের জন্য আজকের রম্য প্রতিবেদনে থাকছে পছন্দের পাত্র-পাত্রীকে বিয়েতে পরিবারকে রাজি করানোর ১০ উপায়

১. প্রথমেই মায়ের সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুব। এরপর মাকে জানিয়ে দিন নিজের পছন্দের পাত্র-পাত্রী সম্পর্কে। সেই সাথে এটাও জানিয়ে দিন এখানে বিয়ে না হলে আপনি সন্নাসী হয়ে যাবেন। তাহলেই দেখবেন আপনার মা আপনাকে সহযোগিতা করতে শুরু করেছে।

২. দ্বিতীয় ধাপে বাবার বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের ভালোভাবে বোঝান, কেন আপনাকে এই পাত্র-পাত্রী বিয়ে করতে হবে। ঘর থেকে মা আপনাকে সাপোর্ট দিলে এবং বাইরে থেকে বাবার বন্ধুরা তাকে বোঝালে বাবা সহজেই রাজি হয়ে যাবেন।

৩. তবে পরিবারের কর্তা যদি বাবা-মা না হয়ে ভাই হন তাহলে আপনার জন্য কাজটা আরও সহজ হবে। এক্ষেত্রে ভাবীকে কিছু ভালো উপহার দিন আর ঘরের কাজে সহযোগিতা করুন। এরপর ভাবীকে জানিয়ে দিন নিজের পছন্দের কথা। তাহলে আপনার ভাইকে রাজি করানোর দায়িত্ব ভাবীই নিয়ে নিবেন।

৪. জানতে চেষ্টা করুন আপনার পরিবার কেমন মেয়ে বা ছেলে পছন্দ করতে পারে। আপনার পছন্দের ছেলে বা মেয়ের মধ্যে সেই গুণগুলো থাকলে বুক ফুলিয়ে জোরে জোরে কয়েকবার হাঁফ ছাড়ুন। আর না থাকলে ভালা কোনো নাট্যদলে ভর্তি হয়ে অভিনয় শিখতে বলুন। যেন পরিবারের সামনে সেগুলো নিখুঁতভাবে অভিনয় করতে পারে।

৫. পছন্দের পাত্র-পাত্রীকে বলুন, যেভাবেই হোক যে কোনো একটা চাকরি জোগাড় করতে। ভালো চাকরিজীবী হলে পরিবার সহজেই রাজি হবে।

৭. এর কোনোটিতেই কাজ না হলে বাবা-মাকে দেখিয়ে দেখিয়ে কিছুটা পাগলামি শুরু করুন। যেমন দেয়াল বা পিলারের সঙ্গে নিজের মাথায় আস্তে আস্তে আঘাত করে ভাব ধরুন, যেন খুব জোরে আঘাত করছেন। এতে তারা বুঝবে, আপনাকে আর কোনোভাবেই ফেরানো সম্ভব নয় এবং রাজি হয়ে যাবে।

৭. এতেও সফলতা না পেলে ফুটপথে ভাগ্য গণনাকারী হকার, জ্যোতিষী বা মুশকিলে আহসান কেন্দ্রের দাওয়াই নিতে পারেন। আশা করা যায় তাদের দাওয়াই মিস হবে না।

৮. এর পরেও পরিবার রাজি না হয় তাহলে দেশান্তরী হওয়ার হুমকি দিন। পরিবারকে জানিয়ে দিন, এখানে আপনার বিয়ে না হলে আপনি দেশ ছেড়ে চলে যাবেন।

৯. উপরের সবকিছুতে ব্যর্থ হলে পছন্দের পাত্র বা পাত্রীকে বলুন মিডিয়ায় খবর পাঠাতে। সাংবাদিকরা পৌঁছানোর আগেই ‘বিয়ের দাবিতে অনশন’, ‘আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত অনশন চলবে’, ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ; বিয়ের দাবিতে অনশন’ বা এমন কোনো প্ল্যাকার্ড লিখে পাত্র বা পাত্রীকে আপনার বাড়ির সামনে বসতে বলুন। ব্যস সে ভাইরাল। আর ভাইরাল পাত্র বা ভাইরাল পাত্রীকে কোনোভাবেই হাতছাড়া করবে না আপনার পরিবার।

১০. এত কিছুর পরেও যদি পরিবার রাজি না হয় তারপরেও হাল ছাড়া যাবে না। এবার শেষ চেষ্টা হিসেবে পছন্দের পাত্র-পাত্রীর সঙ্গে একবার দেখা করুন। তারপর দুজন মিলে শেষ চেষ্টার উপায় বের করুন।