বাবা রিকশা চালায় জেনে স্বামী দিলেন তালাক, সব বাধা পেরিয়ে মেডিকেলে ভর্তির অপেক্ষায় সুমি

| আপডেট :  ১১ এপ্রিল ২০২২, ১২:৪৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ এপ্রিল ২০২২, ১২:৪৯ অপরাহ্ণ

পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে মেয়ে শারমিন আক্তার সুমির বাল্যবিবাহ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন রিকশাচালক বাবা গোলাম মোস্তফা। কিন্তু মেয়ের বাবা একজন রিকশাচালক জানতে পেরে এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চায়নি শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

ফলাফল, বিয়ের তিন মাসের মধ্যে ভেঙে যায় সুমির সংসার। তবে এতে দমে যাননি সুমি। এছাড়া রিকশাচালক বাবা প্রতিজ্ঞা করেন, শত কষ্ট হলেও তিনি মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করবেন।

অবশেষে জয়পুরহাট সদর উপজেলার নিভৃতপল্লী কয়তাহার গ্রামের হতদরিদ্র রিকশাচালক গোলাম মোস্তফার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। মেধাবী সুমি এবারের মেডিকেল পরীক্ষায় ৭৭.০৫ স্কোর নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। এই খবর শুনে খুশিতে কাঁদলেন বাবা।

সুমির বাবা গোলাম মোস্তফা জানান, বড় স্বপ্ন নিয়ে বড় ঘরে বিয়ে দিয়েছিলেন সুমিকে। কিন্তু রিকশাচালকের মেয়ে বলে বিয়ের তিন মাস পর তাকে তালাক দেয় তার স্বামী। সেদিন আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে কেঁদেছিলাম।

বিয়ের মেহেদি মুছতে না মুছতে তালাকপত্র পেয়ে সেদিন কেঁদেছিল সুমিও। তখন থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নেয় সুমি। আর সবশেষে সফলও হয় সে।