সব
বিবাহের মাধ্যমে জীবন-যাপন করে একজন মানুষ পরিপূর্ণ। পবিত্র কুরআন মুসলমানদের জন্য রয়েছে পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। যাতে লিপিবদ্ধ রয়েছে মানুষের সব করনীয় তথা হালাল-হারাম, উচিত-অনুচিতসহ সব বিধি-বিধান। আর বিবাহ করায়ও রয়েছে কিছু বিধি-বিধান।
যেসব নারীকে বিয়ে করা হারাম
১. আপন মা, বাবা ও দাদা-নানার স্ত্রীরা এবং তাদের কামভাব নিয়ে স্পর্শকৃত নারী। এরূপ ঊর্ধ্বতন সব দাদা-নানার স্ত্রীরা।
২. মেয়ে এবং ছেলে ও মেয়ের ঘরের সব নাতনি।
৩. সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় ফুফু।
৪. সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় খালা।
৫. সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় বোন ও তাদের সন্তানাদি।
৬. সহোদরা, বৈপিত্রেয়-বৈমাত্রেয় ভ্রাতৃকন্যা ও তাদের সন্তানাদি।
৭. দুধমাতা, তার মাতা, দাদি, নানি—এমনিভাবে ওপরের সব নারী।
৮. স্ত্রীর মেয়ে, যদি স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস হয়ে থাকে।
৯. পুত্রবধূ, আপন ছেলের হোক বা দুধছেলের হোক।
১০. আপন শাশুড়ি, দাদিশাশুড়ি, নানিশাশুড়ি এবং ওপরে যারা রয়েছে।
১১. দুই বোন একত্রীকরণ, এমনিভাবে ফুফু ও তার ভাতৃকন্যা, খালা ও তার ভাগ্নিকন্যাকে একসঙ্গে বিয়ের মধ্যে রাখা।
১২. উল্লিখিত রক্ত সম্পর্কের কারণে যারা হারাম হয়েছে, দুধ সম্পর্কের কারণেও তারা সবাই হারাম হয়।
১৩. যে মেয়ে অপরের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে। এছাড়াও অন্য সব নারীকে বিয়ে করা হালাল। (দেখুন : সুরা নিসা, আয়াত : ২৩-২৪)
বৈবাহিক সম্পর্কে যারা হারাম-
১. স্ত্রীদের মাতাগণ (শাশুড়ি) স্বামীর জন্য হারাম। এতে স্ত্রীদের নানি, দাদি সবার জন্য এ বিধান প্রযোজ্য।
২. নিজ স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহের পর সহবাস করার শর্তে ওই স্ত্রীর অন্য স্বামীর ঔরসজাত কন্যাকে বিবাহ করা হারাম।
৩. পুত্রবধূকে বিয়ে করা হারাম। পুত্র শব্দের ব্যাপকতার কারণে পৌত্র ও দৌহিত্রের স্ত্রীকে বিবাহ করা যাবে না।
৪. দুই বোনকে বিবাহের মাধ্যমে একত্র করা অবৈধ, সহোদর বোন হোক কিংবা বৈমাত্রেয়ী বা বৈপিত্রেয়ী হোক, বংশের দিক থেকে হোক বা দুধের দিক থেকে হোক- এ বিধান সবার জন্য প্রযোজ্য। তবে এক বোনের চূড়ান্ত তালাক ও ইদ্দত পালনের পর কিংবা মৃত্যু হলে অন্য বোনকে বিবাহ করা জায়েজ।
হিন্দু-মুসলিম বিয়ের বিধান: শরিয়তের দৃষ্টিতে মুসলিম পুরুষ কোনও হিন্দু মহিলাকে, তেমনি মুসলিম নারী হিন্দু পুরুষকে বিয়ে করতে পারে না, যতক্ষণ তারা ইসলাম গ্রহণ না করে।