সব
রাজধানী শাহজাহানপুরে গু’লি করে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজ ছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হ’’ত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ ৪ জনকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১ এপ্রিল) মধ্যরাতে তাদেরকে গ্রে’ফতারের তথ্য জানায় র্যা’ব।
র্যা’বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, বহুল আলোচিত এবং চাঞ্চল্যকর জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং সামিয়া আফরান প্রীতি হ’’ত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড এবং টিপুকে অনুসরণকারীসহ ৪ জনকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে।
টিপু খু’নের পরিকল্পনাকারী হিসেবে ক্ষমতাসীন দলটিরই স্থানীয় এক নেতাকে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে র্যা’ব। তিনি হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক। গ্রে’প্তার অন্য তিনজন হলেন- নাসির হোসেন ওরফে কি’লার নাসির, সালেহ সিকদার ও পলা’শ।
র্যা’ব জানায়, ২০১৩ সালে রাজধানীর গুলশান শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে মিল্কী হ’’ত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। গ্রে’প্তাররা মিল্কীর সহযোগী ছিলেন। মিল্কী হ’’ত্যার সঙ্গে টিপু জ’ড়িত ছিলেন বলে গ্রে’প্তাররা স’ন্দেহ করতেন। তখন মিল্কী হ’’ত্যায় মা’মলা দা’য়ের করেছিলেন গ্রে’প্তাররা। মা’মলার এজাহারে টিপুর নামও ছিল। কিন্তু বিচারিক কার্যক্রমে টিপুর নাম বাদ পড়ে। যা গ্রে’প্তারদের মনে ক্ষু’ব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
র্যা’ব আরও জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ভি’কটিম ও হ’’ত্যার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে বি’রোধ ছিল। মতিঝিল এলাকার চাঁ’দাবাজি, টে’ন্ডারবাজি, স্কুল-কলেজের ভর্তি বাণিজ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে দ্ব’ন্দ্ব-সং’ঘাত চলে আসছিল। আর এসব দ্ব’ন্দ্বকে কেন্দ্র করেই টিপুকে হ’’ত্যা করা হয়।
শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে র্যা’ব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যা’ব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, টিপুকে হ’’ত্যার জন্য ১৫ লাখ টাকা বাজেট করেন পরিকল্পনাকারীরা।
আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন মুসার ও’পর দায়িত্বে আসে টিপুকে হ’’ত্যার। ঘটনার ১২ দিন আগে মুসা দুবাই চলে যান। সেখানে বসে তিনি কি’লার নিয়োগ করা থেকে শুরু করে হ’’ত্যার পরিকল্পনা করেন।