ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি রাশিয়ার কৃতজ্ঞতা

| আপডেট :  ২৪ মার্চ ২০২২, ০৭:২০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ মার্চ ২০২২, ০৭:২০ অপরাহ্ণ

ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের জরুরি অধিবেশনে প্রবল চাপ সত্ত্বেও বাংলাদেশ নিরপেক্ষতা বজায় রাখায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে রাশিয়া।বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রুশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি।ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ এক মাস পূর্তি উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ২ মার্চ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জরুরি অধিবেশনের এক প্রস্তাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে বাংলাদেশ। ভোটাভুটির আগে বাইরের প্রবল চাপ সত্ত্বেও বাংলাদেশ নিরপেক্ষতা বজায় রাখায় আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি বলেন, ওই প্রস্তাবের বিষয়ে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ করেছে। যা সত্যিই প্রশংসনীয়।

রুশ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা শুধু রাশিয়ার জন্য নয়, বাংলাদেশসহ সবার জন্য হুমকি তৈরি করেছে। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং নির্বিঘ্নে বহুমাত্রিক সহযোগিতা এগিয়ে নিতে ঢাকার সাথে কাজ করতে আগ্রহী মস্কো। এজন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা ও লেনদেন অব্যাহত রাখতে বার্টার বাণিজ্যের পাশাপাশি তৃতীয় দেশের ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণের মতো নানা বিকল্প নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে।

পাশ্চাত্যের নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ-রাশিয়ার অর্থনৈতিক সহযোগিতায় প্রভাব নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি বলেন, আমরা বুঝতে পারি, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা রয়েছে। এখন পর্যন্ত সব কাজ নির্ধারিত সময় ধরেই এগোচ্ছে। কাজেই প্রকল্প শেষ করার জন্য আগে যে সময়সীমা ঠিক করা হয়েছিল, সে অনুযায়ী তা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পাশ্চাত্যের মিত্ররা সুইফট ব্যবস্থার ওপর রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এতে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার লেনদেনে একধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, গত সপ্তাহে মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাস বার্টার বাণিজ্যের (পণ্যের বিনিময়ে পণ্য, যা বার্টার বা কাউন্টার ট্রেড নামে পরিচিত) বিষয়টি

বিবেচনায় নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছে। আমি এটুকু বলতে পারি, দুই দেশ ব্যবসা ও লেনদেন অব্যাহত রাখার স্বার্থে বার্টার, এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের মুদ্রা বিনিময় (রুবল ও টাকার মধ্যে) এবং তৃতীয় দেশের ব্যাংক ব্যবহারের মতো বিকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করছে।

রুশ রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য কমানো নয়, বাড়াতে আগ্রহী। এ মুহূর্তে পশ্চিমা অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের সরকারের চাপে রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে।যা আমাদের বাংলাদেশের অংশীদারদের জন্য এক দারুণ সুযোগ তৈরি করেছে।