জামায়াত নেতা সাবেক এমপি খালেক মণ্ডলের মৃত্যুদণ্ড

| আপডেট :  ২৪ মার্চ ২০২২, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ মার্চ ২০২২, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ

একাত্তরে মানবতাবি’রোধী অ’পরাধের মা’মলায় সাতক্ষীরা জে’লা জামায়াতের আমির ও সাবেক সং’সদ সদস্য (এমপি) আব্দুল খালেক মণ্ডল ওরফে জল্লাদ খালেকসহ দুইজনের মৃ’ত্যুদ’ণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অ’পরাধ ট্রাইব্যুনাল।বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শহিনুর ইসলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

এর আগে শুনানি শেষে এ মা’মলা রায়ের জন্য অপেক্ষমান রেখেছিলেন।এ মা’মলায় আ’সামি খালেক মণ্ডলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। প’লাতক খান রোকনুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।

রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর ছিলেন মোখলেসুর রহমান বাদল ও রেজিয়া সুলতানা চমন।চার আ’সামির মধ্যে খালেক মণ্ডল গ্রে’ফতার, কমান্ডার আব্দুল্লাহ হেল বাকী শর্তসাপেক্ষে জা’মিনে ছিলেন। বাকি দুই আ’সামি খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ইসলাম টেক্কা খান ছিলেন প’লাতক। বিচারচলাকালীন সময়ে বাকী এবং টেক্কা খান মা’রা যান।

২০১৭ সালের ১৯ মার্চ এ মা’মলায় আনুষ্ঠানিক অ’ভিযোগ দাখিল করা হয়। আনুষ্ঠানিক অ’ভিযোগে আ’সামিদের বি’রুদ্ধে হ’’ত্যা, ধ”ণ, আ’টক, নি’র্যাতনসহ মানবতাবি’রোধী অ’পরাধের সাতটি অ’ভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ছয়জনকে হ’’ত্যা, দু’জনকে ধ”ণ, ১৪ জনকে শা’রীরিক নি’র্যাতনের অ’ভিযোগ।২০১৮ সালের ৫ মার্চ চার আ’সামির বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ গঠনের আদেশ দেওয়া হয়। পরে একই বছরের ১৫ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজে’লার খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসায় না’শকতার উদ্দেশে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গো’পন বৈঠকের অ’ভিযোগে আব্দুল খালেক মণ্ডলকে গ্রে’ফতার করে পুলিশ। ওই বছরের ২৫ আগস্ট খালেক মণ্ডলের বি’রুদ্ধে সাতক্ষীরায় দা’য়ের করা মানবতাবি’রোধী অ’পরাধের তিনটি মা’মলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হ’’ত্যা মা’মলায় তাকে গ্রে’ফতার দেখান ট্রাইব্যুনাল।

শিমুলবাড়িয়া গ্রামের রুস্তম আলীসহ পাঁচজনকে হ’’ত্যার অ’ভিযোগে ২০০৯ সালের ২ জুলাই খালেক মণ্ডলের বি’রুদ্ধে মা’মলাটি করেন শহীদ রুস্তম আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী।