ব্যাংক কর্মকর্তাদের বুদ্ধিমত্তায় রক্ষা পেলো রাষ্ট্রের ৩০৪ কোটি টাকা

| আপডেট :  ১১ মার্চ ২০২২, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ মার্চ ২০২২, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

কর্মকর্তাদের বুদ্ধিমত্তায় ৩০৪ কোটি টাকার ৭ টি চেক জালিয়াতির প্রতারণা থেকে রক্ষা পেল রাষ্ট্রায়ত্ত সােনালী ব্যাংক। গত ৯ মার্চ বুধবার সােনালী ব্যাংকের দিলকুশা করপােরেট শাখায় সরকারি এক প্রকল্পের নামে ভুয়া চেক উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলনের চেষ্টাকালে কর্মকর্তাদের বুদ্ধিমত্তায় তা ঠেকানাে সম্ভব হয়।

পরে প্রতারককে মতিঝিল থানা পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। ব্যাংক শাখাটি থেকে মতিঝিল থানায় একটি অভিযােগও দাখিল করা হয়েছে।অভিযুক্ত ওই চেক জালিয়াতকারী ও প্রতারকের নাম আজারুর রহমান ফারুক (৪৬)। নরসিংদীর মনােহরদী থানার সৈয়দপুর গ্রামের মৃত আবদুল শনির ছেলে ফারুক ইস্কাটন রােডস্থ বড় মগবাজারের বাসিন্দা।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ৯ মার্চ বিকাল তিনটার দিকে ফারুক মৎস্য অধিদপ্তরের দারিদ্য বিমােচন সমন্বিত মৎস্য চাষ প্রকল্পের নামে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার ২৪ মার্চের একটি চেক (যার নাম্বার সিডি ৫০৩৩০৯১২৮) সােনালী ব্যাংকেল দিলকুশা করপোরেট শাখার ক্যাশ কাউন্টারে উপস্থাপন করেন। এবার যাচাই-বাছাই করে শাখা নিশ্চিত হয় যে, চেকটি জাল-তালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। তাৎণিকভাবে শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার বিপ্লব কুমার বর্মা শাখাপ্রধান ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মােঃ ওহিদুজ্জামানকে বিষয়টি জানায়।

পরে ব্যাংক কর্তৃক্ষ মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব মােঃ আতিয়ার রহমানের সঙ্গে যােগাযােগ করেন। তখন অধিদপ্তর থেকে জানানাে হয় এ ধরনের কোনাে চেক ইস্যু করেননি তারা এবং প্রকল্পটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে শাখার কর্মকর্তারা কৌশলে প্রতারককে বসিয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রতারকের কথায় অসামঞ্জস্যপূর্ণতা পরিলক্ষিত হওয়ায় মতিঝিল থানাকে বিষয়টি জানানাে হয়।

এর পর পুলিশ এসে প্রতারককে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পুলিশ ওই ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে ২৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার আরও ৬ টি জাল চেক উদ্ধার করে জব্দ করেন। দিলকুশা করপােরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মােঃ ওহিদুজ্জামান বলেন, চক্রের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় জিডি করা হয়েছে। সূত্রঃ দৈনিক আমাদের সময়