সব
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে নোঙর করে রাখা বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রাশিয়ার রকেট হা’মলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মা’রা গেছেন। নি’হত নাবিকের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজে’লায় হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে। তিনি মো. রাজা হাওলাদারের ছেলে। তার এমন মৃ’ত্যুর খবরে বাড়িতে শো’কের মাতম চলছে।
বরগুনার বেতাগীতে থাকা স্বজনদের দেওয়া তথ্যমতে জাহাজের ব্রিজে এসে রকেট হা’মলায় নি’হত হন তিনি। নি’হত নাবিকের চাচা বেতাগী উপজে’লা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিৎ করে বুধবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে মুঠোফোনে জানান
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের অলভিয়া বন্দরে নোঙর করা অবস্থায় আ’টকা পরে নাবিক হাদিসুর রহমানসহ ২৯ জন নাবিক। ২৪ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে আ’টকে পরার খবর জানান তিনি। এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। ওই এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কে স’মস্যা থাকায় তার স্বজনরা একাধিকবার কল দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।
বুধবার রাতে স্বজনদের সাথে কথা বলার জন্য জাহাজের ইঞ্জিনরুম থেকে ব্রিজে আসলে ওই সময়ই রকেট হা’মলার শি’কার হয়ে ঘটনাস্থলেই মা’রা যান হাদিসুর।
হাদিসুর রহমান ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যোগ দেন। তার বাবা রাজা হাওলাদার একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। ২ ভাই ৩ বোনের মধ্যে তিনি হচ্ছেন মেঝ।
