ইউক্রেন নিয়ে সরব বিশ্ব, কী দোষ ফিলিস্তিন আর ইয়েমেনের?

| আপডেট :  ২ মার্চ ২০২২, ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ মার্চ ২০২২, ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

ইউক্রেন ইস্যুতে অত্যন্ত সরব হয়ে উঠেছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। গণমাধ্যমে চলছে বিস্তর আলোচনা। শেষ কবে কোন ইস্যুতে এভাবে একাট্টা হয়েছে পুরো বিশ্ব তা হয়তো ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া কঠিন। পুরো বিশ্বের এখন একই ভাষা, ইউক্রেনে বন্ধ করতে হবে রুশ আগ্রাসন। একের পর এক নি’ষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে রাশিয়াকে রুখতে।

এমনকি, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও যেন আরেক লড়াকু সৈনিক। ব’র্বরতায় প্রতিদিনই প্রা’ণ হা’রানো ইউক্রেনের বেসা’মরিক নারী-পুরুষ-শি’শুদের নানা ঘটনা তুলে ধরছে তারা। শ’রণার্থী হয়ে মানবেতর জীবন কিংবা প্রিয়জন হা’রানোর হৃদয় বিদারক সব দৃশ্য দেখে কেঁদে উঠছে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রান্তের মানুষের।

অথচ গণমাধ্যম কিংবা বিশ্বশক্তি, কোনো পক্ষকেই এতটা সরব হতে দেখা যায় না অন্য কোনো অঞ্চলের সং’ঘাতে। ফিলিস্তিনে ই’সরায়েলি আগ্রাসন, কিংবা ইয়েমেনে সৌদি জোটের হা’মলায় যতটা নিশ্চুপ বিশ্ব ততটাই সরব যেন ইউক্রেন ইস্যুতে। গৃহহীন ইউক্রেনবাসীর জন্য যত বিবৃতি-উ’দ্বেগ বিশ্বনেতা আর বিশ্লেষকদের, প্রশ্ন থেকে যায়, তার কতুটুকুই বা ছিল উদ্বাস্তু হওয়া ১১ লাখ রো’হিঙ্গার ক্ষেত্রে!

পশ্চিমের দ্বৈতনীতি সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট গণমাধ্যমে। ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান যু’দ্ধকে যেভাবে দেখানো হয় ঠিক বিপরীতভাবে দেখানো হচ্ছে ইউক্রেন যু’দ্ধকে। স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের যে গণমাধ্যম স’ন্ত্রাসী আখ্যা দেয় তারাই পেট্রোল বো’মা বানানো ইউক্রেন বেসা’মরিকদের দেখাচ্ছে লড়াকু যো’দ্ধা হিসেবে।

অনেকের বক্তব্যে স্পষ্ট বর্ণবা’দী আচরণ। তারা বলছেন, এটা খুবই ক’ষ্টদায়ক যে ইরাক-আফগানিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি ‘সভ্য’ একটি দেশে এমন হা’মলা হচ্ছে। মানুষ মি’সাইল আর গোলার আ’ঘাত থেকে বাঁচতে বাংকারে আশ্রয় নিচ্ছে এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের দিকে নজর এখন পুরো পশ্চিমা বিশ্বের। তাই অনেকেই শঙ্কা করছেন ইউক্রেনকে সহায়তা করতে গিয়ে যু’দ্ধবি’ধ্বস্ত অন্যান্য দেশগুলোতে ত্রাণ সহায়তা কমতে পারে।