যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পুতিনের প্রস্তাবে রাজি জেলেনস্কি

| আপডেট :  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০২:১৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০২:১৪ অপরাহ্ণ

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দেশ থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রস্তাব দিয়েছিল তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানায় বিবিসি।এ বিষয়ে অবগত এক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাতে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবরে বলা হয়, জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধ হচ্ছে ইউক্রেনে। আমার গোলাবারুদ দরকার, রাইড নয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বরাতে ওয়াশিংটন পোস্ট জানাচ্ছে, জেলেনস্কিকে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত ছিল।সম্প্রতি তিনি ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, যখন তোমরা হামলা করবে তখন আমাদের সম্মুখভাগ দেখতে পাবে, আমাদের পেছনের অংশ নয়।

এর আগে কিয়েভ থেকে পালিয়ে গেছেন জেলেনস্কি— এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার সহযোগীদের সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি বলেন, আমরা সবাই এখানে এবং এভাবেই থাকব। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকে ভয়াবহ সংঘাত চলছে।

অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রস্তাব গ্রহণ করে শান্তি ও যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রুশ বার্তা সংস্থা টাসের এক প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে।

ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারির শনিবারের বিবৃতির বরাত দিয়ে টাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকের স্থান ও সময় নিয়ে আলোচনা চলছে। যত তাড়াতাড়ি আলোচনা শুরু হবে, তত দ্রুত স্বাভাবিক জীবন শুরু করা যাবে।

এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার জন্য মিনস্কে প্রতিনিধিদল পাঠাতে প্রস্তুত প্রেসিডেন্ট পুতিন। কিন্তু ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আলোচনার স্থান হিসেবে পোল্যান্ডের শহর ওয়ারশকে প্রস্তাব করা হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ইউক্রেনে চলমান রুশ অভিযানের তৃতীয় দিনেই আলোচনার শর্ত এক অর্থে মেনে নিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

এর আগে বৃহস্পতিবার পূর্ব ইউরোপে রুশভাষীদের ওপর ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটিতে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন। তার ঘোষণার পরপরই রুশ সেনারা উত্তর-পূর্ব ও ক্রিমিয়া দিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করে। অভিযানের তৃতীয় দিনে তারা রাজধানী কিয়েভে পৌঁছে যায়। সর্বশেষ তথ্য মতে, কিয়েভ বাঁচাতে লড়ছিল ইউক্রেনের সেনারা।