যে কাজগুলো ফেসবুকে কখনোই করা উচিত না

| আপডেট :  ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক। যোগাযোগের জন্য তো বটেই, অন্যান্য বিভিন্ন ব্যবহারের কারণে ফেসবুক এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অত্যাবশ্যকীয় একটি অংশ হয়ে উঠেছে। প্রতি মাসে ফেসবুক ব্যবহার করেন ২.৭ বিলিয়ন মানুষ। তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের কাছেই জনপ্রিয় এই সাইট।

তবে ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে কিছু বি’ষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। অন্যথায় তা বি’পদের কারণ হয়ে উঠতে পারে।ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতার অংশ হিসেবে নিচের কাজগুলো কখনোই করা উচিত না:

ফেসবুকে কখনোই জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি), পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো নথিপত্রের তথ্য দেবেন না। কারণ এতে আপনার গো’পনীয়তা পড়তে পারে হু’মকির মুখে।

ফেসবুক আইডিতে নিজের স’ন্তানদের কিংবা ব্যক্তিগত কোনোকিছু প্রকাশ্যে বিস্তারিতভাবে না দেওয়াই শ্রেয়। আর দিলেও তাতে যেন অবশ্যই প্রাইভেসি দেওয়া থাকে। কারণ হ্যাকারদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু থাকে ব্যভারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ও জিনিস।

আপনার বাড়ির ঠিকানা, অফিসের ঠিকানা থেকে শুরু করে আপনার অবস্থান ফেসবুকে সরাসরি দেওয়া উচিত না। কারণ এতে আপনি কারও নজরদারিতে থাকতে পারেন। আর আপনার গতিবিধির ও’পর লক্ষ্য রাখা যে কেউ তার অন্যায় সুযোগ নিয়ে আপনার ক্ষ’তি করতে পারে।

অনেকেই লাইক-কমেন্ট-শেয়ারের জন্য অপরিচিত বা যে কাউকে বন্ধু তালিকায় যোগ করে নেন। ফেসবুক আইডিতে বন্ধু তালিকায় ৫০০-৬০০ এর ও’পরে বন্ধু থাকলেই তাতে খুশি হওয়ার কিছু নেই। কারণ এর মধ্যে অনেক হ্যাকার বা তাদের বট আইডিও থাকতে পারে। আর আপনার আইডির বন্ধু তালিকায় থাকা যে কেউ আপনার ব্যক্তিগত বা তথ্য বা ছবি দেখতে পারে। যদি বন্ধু তালিকায় হ্যাকার থাকে, তাহলে তা হয়ে উঠতে পারে বি’পদজনক।

ফেসবুকে কখনও অশালীন কিংবা কাউকে হেয় বা অসম্মান করে কিছু বলবেন না। এতে যেমন সবার কাছে আপনার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে, তেমনি আপনার আইডি ডিসেবলেরও ঝুঁ’কি আছে।

কখনোই অপরিচিত বা ফেক আইডিকে ছবিতে ট্যাগ করা যাবে না। এমনকি নিজেও যেন অপরিচিত বা নিজে না থাকা কোনো ছবিতে ট্যাগড না হন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ স’মস্যা এড়াতে ছবির ট্যাগের ক্ষেত্রে তা রিভিউ করে নেওয়া অত্যাবশ্যক।