রায় শুনে এসআই নন্দ দুলালকে কাঠগড়ায় চড়-থাপ্পড়

| আপডেট :  ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ

সে’নাবা’হিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্ম’দ রাশেদ খান হ’’ত্যা মা’মলায় টেকনাফ থানার ব’রখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁ’সির আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাহারছড়া পুলিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের ব’রখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, রুবেল ও সাগরসহ ৬ জনকে যাবজ্জীবন কা’রাদ’ণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) কক্সবাজারের জে’লা ও দায়রা জজ মোহাম্ম’দ ইসমাইল ৩০০ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়া শেষে এই রায় ঘোষণা করেন। রায় পড়ার সময় বিচারক বলেন, সিনহার পরিচয় জানার পর স্যালু’ট দিয়েছিলেন চেকপোস্টে থাকা সদস্যরা। এর একটু পর তাঁরাই কেন আবার গু’লি করতে সহযোগিতা করলেন? এই হ’’ত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত।

যাবজ্জীবন কা’রাদ’ণ্ডের রায় শুনে কাঠগড়ায় কা’ন্নায় ভেঙ্গে পড়েন আ’সামি মোহাম্ম’দ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন। এরপরে তারা অপর যাবজ্জীবন দ’ণ্ডপ্রাপ্ত আ’সামি নন্দ দুলাল রক্ষিতকে চড়-থা’প্পড় মা’রতে থাকেন। এ সময় আইয়াজ বলতে থাকেন, আমাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় নন্দ দুলাল। সে ক্র’সফা’য়ারের ভ’য় দেখিয়ে আমাকে ফাঁ’সিয়ে দিয়েছে।

এদিকে ফাঁ’সির রায় শুনে চোখে পানি নিয়ে মলিন চেহারায় চুপচা’প এজলাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। তার চেহারা দেখে মনে হয়েছে, তিনি কিছু বলতে চাইলেও যেনও মুখ থেকে কোনও কথা বের হচ্ছে না। এক কথায়, ফাঁ’সিতে ঝু’লিয়ে মৃ’ত্যুদ’ণ্ড কার্যকরের রায় শুনে তিনি যেন একটি জীবন্ত লা’শ বনে গেছেন। প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে ফাঁ’সির দ’ণ্ডপ্রাপ্ত আ’সামি ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীর চেহারাতেও।

সিনহা হ’’ত্যা মা’মলায় রায়ের পর মা’মলার বা’দী ও নি’হতের বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বলেছেন, আমাদের প্রত্যাশা অনেকখানি পূরণ হয়েছে, সন্তুষ্টির জায়গাটা সেদিন বলবো যেদিন এটা কার্যকর হবে। মা’মলায় ত’দন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা

জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে যে আইনের শাসন আছে তাতে মানুষ আশাবা’দী হবে। প্রধান দুই আ’সামির এমন শা’স্তি না হলে আমরা অবাক হতাম। আ’দালত চুলচেরা বিশ্লেষণ করে রায় দিয়েছেন। আমাদের প্রত্যাশা অনেকখানি পূরণ হয়েছে, সন্তুষ্টির জায়গাটা সেদিন বলব যেদিন এটা কার্যকর হবে।