সিনহা হ’ত্যা মা’মলায় প্রদীপ-লিয়াকতে ফাঁ’সি

| আপডেট :  ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৪৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৩০ অপরাহ্ণ

সে’নাবা’হিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হ’’ত্যা মা’মলার রায় ঘোষণা করেছেন আ’দালত। এতে টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী (৩১), টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের (৪৮) মৃ’ত্যুদ’ণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কক্সবাজার জে’লা ও দায়রা জজ মোহাম্ম’দ ইসমাইল এই রায় ঘোষণা করেন। মা’মলার আ’সামি নন্দ দুলালসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কা’রাদ’ণ্ড দিয়েছে আ’দালত।এ ছাড়া সাতজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। ভিডিও

এর আগে ২টার দিকে এই মা’মলার ১৫ আ’সামিকে ক’ঠোর নিরাপত্তায় আ’দালত চত্বরে আনা হয়। দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন কক্সবাজারের জে’লা ও দায়রা জজ আ’দালতের বিচারক মোহাম্ম’দ ইসমাঈল।২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে রিসোর্টে ফেরার পথে টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কে শামলাপুর এপিবিএন পুলিশের তল্লা’শি চৌকিতে পুলিশের গু’লিতে নি’হত হন সিনহা। ঘটনাটি সারা দেশেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

হ’’ত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বা’দী হয়ে কক্সবাজার জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আ’দালতে হ’’ত্যা মা’মলা দা’য়ের করেন। আ’সামি করা হয় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া ত’দন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিতসহ পুলিশের ৯ সদস্যকে। আ’দালত মা’মলাটির ত’দন্তভার দেয় কক্সবাজারের র‍্যা’ব-১৫ কে। এ ছাড়াও পুলিশের করা তিনটি মা’মলার ত’দন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যা’ব-১৫।

৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ মা’মলার আ’সামি সাত পুলিশ সদস্য আ’দালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ত’দন্তে নেমে হ’’ত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যা’টালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও মোট সাতজনকে গ্রে’ফতার করে র‍্যা’ব। এরপর ২০২০ সালের ২৪ জুন মা’মলার চার্জশিটভুক্ত আ’সামি কনস্টেবল সাগর দেব আ’দালতে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আলোচিত এই মা’মলার ১৫ আ’সামির সবাই আইনের আওতায় আসেন।

১৫ আ’সামির মধ্যে টেকনাফ থানার ব’রখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ব’রখাস্ত কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব ছাড়া বাকি ১২ আ’সামি আ’দালতে ১৬৪ ধারায় স্বী’কারোক্তিমূলক জ’বানব’ন্দি প্রদান করেন। এ মা’মলায় চার মাসের বেশি সময় ত’দন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর আ’দালতে অ’ভিযোগপত্র দাখিল করেন মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যা’ব-১৫ এর জ্যৈষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্ম’দ খায়রুল ইসলাম। ১৫ জনকে আ’সামি করে দা’য়ের করা অ’ভিযোগপত্রে সিনহা হ’’ত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

সিনহা হ’ত্যা পূর্বপরিকল্পিত: সে’নাবা’হিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্ম’দ রাশেদ খান হ’’ত্যা মা’মলার আ’সামি মো. লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাশসহ আসামীদের আ’দালতে আনা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা পৌনে ১টার দিকে কক্সবাজার আ’দালতে আনা হয় আ’সামিদের। এরপর তাদের জে’লা দায়রা জজ আ’দালতের কাঠগড়ায় নেওয়া হয়। এরপর কক্সবাজারের জে’লা ও দায়রা জজ আ’দালতের বিচারক মোহাম্ম’দ ইসমাইল রায় পড়া শুরু করেন।

মেজর সিনহা হ’’ত্যাকাণ্ডকে পূর্বপরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেন আ’দালত। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) কক্সবাজারের জে’লা ও দায়রা জজ মোহাম্ম’দ ইসমাইল রায়ের এক পর্যবেক্ষণে এ মন্তব্য করেন। আ’দালত বলেন, সিনহা হ’’ত্যাকাণ্ডকে পূর্বপরিকল্পিত এটি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।এর আগে দুপুর ২টার দিকে ৯ পুলিশ সদস্য, তিন এপিবিএন সদস্য ও তিন স্থানীয় বাসিন্দাসহ ১৫ অ’ভিযুক্তকে আ’দালতে আনা হয়।

মা’মলায় অ’ভিযুক্তরা হলেন টেকনাফ থানার ব’রখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ও ব’রখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের ব’রখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, ব’রখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, ব’রখাস্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, ব’রখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, ব’রখাস্ত এপিবিএনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, ব’রখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, টেকনাফ থানায় পুলিশের দা’য়ের করা মা’মলার সাক্ষী বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

সিনহা হ’’ত্যা মা’মলার রায়কে ঘিরে সকাল থেকেই কক্সবাজার আ’দালত প্রাঙ্গণে ছিল কড়া নিরাপত্তা। খুব সকালে আ’দালতে পৌঁছানোর পর প্রধান ফটক থেকে শুরু করে এজলাস পর্যন্ত যেতে কয়েক দফা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিবন্ধকতা পার হতে হয়। আ’দালতের প্রবেশ পথ, জে’লা প্রশাসক কার্যালয় এলাকা, পৌরসভা গেট, ও কাঁচাবাজার এলাকাসহ সাত স্তরে পুলিশের চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।

কক্সবাজার জে’লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সবাইকে আ’দালতে প্রবেশের দুটি ফটকে অবস্থান নিয়ে সাত স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তুলেছেন। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। নিরাপত্তা জো’রদারে পুলিশের সঙ্গে অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। অপ্রয়োজনীয় যানবাহন নিয়ে কেউ যেন প্রবেশ করতে না পারে সেটি দেখা হচ্ছে। বিচারপ্রার্থী ছাড়া কাউকে আজ আ’দালতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গু’লিতে খু’ন হন সে’নাবা’হিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্ম’দ রাশেদ খান।

এ ঘটনার পাঁচদিন পর ওই বছরের ৫ আগস্ট নি’হত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বা’দী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ ত’দন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ই’নচার্জ লিয়াকত আলীকে প্রধান আ’সামি এবং টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে দ্বিতীয় আ’সামি করে ৯ পুলিশ সদস্যের বি’রুদ্ধে আ’দালতে মা’মলা করেন। মা’মলাটি ত’দন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যা’ব। চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা ত’দন্তের পর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অ’ভিযুক্ত করে আ’দালতে চার্জশিট জমা দেন মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মকর্তা। অ’ভিযোগপত্রে সিনহা হ’’ত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২০২১ সালের ২৭ জুন ১৫ আ’সামির বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২৩ আগস্ট কক্সবাজার জে’লা ও দায়রা জজ মোহাম্ম’দ ইসমাইলের আ’দালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। এ মা’মলায় মোট ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

ইভ্যালি লকারে মিললো না একটি টাকাও!
নির্বাহী ম্যা’জিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কিছুক্ষণ আগেই ভাঙ্গা হয়েছে ইভ্যালির পাসওয়াড না জানা দুই লকার। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নগদ একটি টাকাও পাওয়া যায়নি লকার দু’টিতে। কিছু কাগজপত্র পাওয়া গেলেও, পাওয়া যায়নি গুরুত্বপূর্ণ কিছু।

পাসওয়ার্ড না দেওয়ার কারণে ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসের ওই দুই লকার ভাঙা হয় বলে জানা গেছে। ঢাকা জে’লা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যা’জিস্ট্রেটকে নিয়ে ওই লকারগুলো ভাঙা হয়েছে। আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বেলা ৩টার দিকে ইভ্যালির কার্যালয় থেকে লকারগুলো বের করা হয়। লকার ভাঙার জন্য ধানমন্ডিতে ইভ্যালি কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও ঢাকা জে’লা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যা’জিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জানান, গত বছরের ২৩ নভেম্বর কা’রাগারে থাকা মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর ‘কম্বিনেশন নম্বর’ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ জন্য আ’দালতের নিযুক্ত ইভ্যালির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে কা’রাগারে এ দম্পতির সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করতে আইজি প্রিজন্সকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, বিচারপতি মুহাম্ম’দ খুরশীদ আলম স’রকারের কোম্পানি কোর্টের ওই আদেশের পরও লকার দুটির পাসওয়ার্ড পায়নি কমিটি। যে কারণে লকার ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য তার ৫ সদস্যের বোর্ড আজ ইভ্যালি কার্যালয়ে উপস্থিত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, প্র’তারণার মাধ্যমে টাকা আ’ত্মসাতের অ’ভিযোগে ইভ্যালির নাম দেশজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত। প্র’তারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আ’ত্মসাতের অ’ভিযোগে ইতোমধ্যে ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বি’রুদ্ধে একাধিক মা’মলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্ম’দপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রে’প্তার করা হয়। এরপর থেকে তারা কা’রাগারে আছেন।