কাঠগড়ার এক কোণে দাঁড়িয়ে নিশ্চুপ ওসি প্রদীপ

| আপডেট :  ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ০২:৩৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ০২:৩৪ অপরাহ্ণ

দেশের আলোচিত সে’নাবা’হিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্ম’দ রাশেদ খান হ’’ত্যা মা’মলার রায় ঘোষণার জন্য আ’দালতে আ’সামিদের হাজির করা হয়েছে। এ সময় সাবেক ওসি প্রদীপকে মুখে হাসি ছাড়া দেখা যায়। আ’দালতে ধূসর রঙের সোয়েটার আর নেভী ব্লু রংয়ের প্যান্ট পরে এসেছেন প্রদীপ।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ৫৭ মিনিটের দিকে আ’সামিদের কাঠগড়ায় তোলা হয়।সরেজমিনে দেখা যায়, এজলাসের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে সাবেক ওসি প্রদীপ। বাকি আ’সামিরা অন্যপাশে তাদের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছেন।

জানা গেছে, কক্সবাজার জে’লা ও দায়রা জজ আ’দালত সৃষ্টির ৩৮ বছরের ইতিহাসে এ প্রথম এত দ্রুত কোনো হ’’ত্যা মা’মলার রায় ঘোষণা হবে।উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গু’লিতে খু’ন হন সে’নাবা’হিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্ম’দ রাশেদ খান।

এ ঘটনার পাঁচদিন পর ওই বছরের ৫ আগস্ট নি’হত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বা’দী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ ত’দন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ই’নচার্জ লিয়াকত আলীকে প্রধান আ’সামি এবং টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে দ্বিতীয় আ’সামি করে ৯ পুলিশ সদস্যের বি’রুদ্ধে আ’দালতে মা’মলা করেন।

মা’মলাটি ত’দন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যা’ব। চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা ত’দন্তের পর ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অ’ভিযুক্ত করে আ’দালতে চার্জশিট জমা দেন মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মকর্তা। অ’ভিযোগপত্রে সিনহা হ’’ত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২০২১ সালের ২৭ জুন ১৫ আ’সামির বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২৩ আগস্ট কক্সবাজার জে’লা ও দায়রা জজ মোহাম্ম’দ ইসমাইলের আ’দালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। এ মা’মলায় মোট ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।