ওসি প্রদীপের ফাঁ’সির দাবিতে আদালত চত্বরে মানববন্ধন

| আপডেট :  ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০৩ অপরাহ্ণ

সে’নাবা’হিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্ম’দ রাশেদ খান হ’’ত্যা মা’মলার প্রধান আ’সামি কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের ফাঁ’সির দাবিতে মা’নববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার আ’দালত চত্বরে এ মা’নববন্ধন করেন তারা। টেকনাফের সর্বস্তরের জনসাধারণের উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মা’নববন্ধনে অংশ নেয়া একজন বলেন, আমার ভাই শাহবুদ্দীন ছিলেন একজন কৃষক। আমার ভাইয়ের নামে একটা মা’মলা ছিল। ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে গ্রে’প্তার করা হয়। পরে ২১ তারিখে আমার ভাইকে ক্র’সফা’য়ার দিয়েছে। যদি এটা ব’ন্দুকযু’দ্ধ হতো তাহলে গু’লি মাথায় লাগত বা পিঠে লাগত অথবা পায়ে লাগত। কিন্তু, সেই গু’লি সিনাতে লাগছে।আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমরা ওসি প্রদীপের ফাঁ’সি চাই।

মা’নববন্ধনে অংশ নেয়া কক্সবাজারের স্থানীয় সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের মা হালিমা খাতুন বলেন, আমার ছেলেকে ওসি প্রদীপ ছয়টি মি’থ্যা মা’মলা দিয়েছে। আরও অনেক নিরীহ লোককে হ’য়রানি নি’র্যাতন করেছে।
মা’নববন্ধনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা অ’ভিযোগ করেন, প্রদীপ কুমার দাশ টেকনাফে থাকাকালে নিরীহ লোকজনকে হ’য়রানি ও নি’র্যাতন করেছেন।

ক্র’সফা’য়ার দিয়েছেন ১৪৫ জন নিরীহ মানুষকে। আজ মা’মলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা আছে। তাঁরা চান প্রদীপ কুমার দাশের ফাঁ’সি হোক।আজ দুপুরের পর কক্সবাজার জে’লা দায়রা জজ আ’দালতে সিনহা হ’’ত্যা মা’মলার রায় ঘোষণা হতে পারে। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে আ’দালত চত্বরে নিরাপত্তা জো’রদার করা হয়।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে গু’লিতে নৃ’শংসভাবে খু’ন হন সে’নাবা’হিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। হ’’ত্যাকা-ের ঘটনাকে ধা’মাচা’পা দিতে নানা অ’পচেষ্টা চা’লানো হলেও ত’দন্তে বেরিয়ে আসে জ’ড়িতদের নাম এবং তাদের নৃ’শংসতা।

এ মা’মলায় অ’ভিযুক্ত ১৫ আ’সামি হলেন, টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী (৩১), টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ (৪৮), বাহারছড়া পুলিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত (৩০), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. লিটন মিয়া (৩০), কনস্টেবল ছাফানুর করিম (২৫), মো. কামাল হোসাইন আজাদ (২৭), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ওসি প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা (৩০), কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান আলী (৪৭), কনস্টেবল মো. রাজীব হোসেন (২৩), আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (২০), স্থানীয় বাসিন্দা বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন (২২), মো. নিজাম উদ্দিন (৪৫) ও মোহাম্ম’দ আইয়াজ (৪৫)।