সব
নির্বাচনের দিনে এফডিসি’তে প্রবেশ করতে না দেয়ার প্র’তিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৭টি সংগঠনের সদস্যরা। আজ (৩০ জানুয়ারি) সকালের কর্মসূচি থেকে এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিনের অপসারণ দাবি করেন তারা। অন্যদিকে, সংবাদ সম্মেলন করে এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোলাসা করার চেষ্টা করেছেন, কেন পরিচালক, প্রযোজক, টেকনিশিয়ানদের ঢুকতে দেয় হয়নি এফডিসিতে।
এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে একটি চিঠি দিয়ে আবেদন করা হয় যেন, এফডিসির ভেতরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে পারে। এফডিসিতে একটি ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে, সেখানেই অর্ধেক জায়গা চলে গিয়েছে। তার মধ্যে কোভিড বিধিমালা অনুসারে নির্বাচন কমিশনারকে অনুরোধ করেছিলাম, নির্বাচনের ভেন্যু অন্যত্র নেয়ার জন্য। তবে নির্বাচন কমিশনারের অনুরোধ সাপেক্ষেই এফডিসিতে নির্বাচন করার অনুমতি দেয়া হয়।
এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে যেসব জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে ক’রোনা বিধিমালায় যেসব বি’ষয় রয়েছে, তা মাথায় রেখে কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে নির্বাচনের ভেন্যু হিসেবে এফডিসিকে ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়। ১০০ জনের বেশি জমায়েত না করার জন্য বলা হলেও ৪২৮ জন ভোটারের এই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের মোট সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। পুরো নির্বাচনটি পর্যবেক্ষণে ছিল স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তাই শুধুমাত্র ভোটার এবং ভোট কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরই এফডিসিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তবে এফডিসির সমিতিগুলো থেকে তার কাছে আবেদন করা হয়েছিল যে, পাশধারীরা যেন প্রবেশ করতে পারেন এফডিসিতে। তবে পাশধারীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় সেই আবেদন মেনে নেয়া সম্ভব হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলতে গিয়েই এই আবেদনে সম্মতি দেয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
নুজহাত ইয়াসমিন আরও জানান যে, কিছু লোক আসতে পারতেন বলে শুনেছেন তিনি। তবে তারা যদি নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট হতেন তবে, দুই প্যানেল এবং নির্বাচন কমিশন কিছু পাশ ইস্যু করিয়ে এই ব্যাপারটি সম্পন্ন করতে পারতেন। এখানে এফডিসির কিছুই করার নেই। এখানে এফডিসির এমডির কোনো ভূমিকা নেই।