সভাপতি হয়ে নতুন অনিশ্চয়তায় ইলিয়াস কাঞ্চন

| আপডেট :  ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৩৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৩৩ অপরাহ্ণ

২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। নির্বাচনের ফলাফল ও কাঞ্চনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ
শিল্পী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। অভিনন্দন আপনাকে…
ধন্যবাদ। তবে আমি নির্বাচনের ফলাফলে খুব বেশি খুশি হতে পারিনি।
আমার প্যানেলের অনেকেই পরাজিত হয়েছেন।

আমার কাছে সভাপতি পদের চেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদকে বেশি কার্যকরি মনে হয়। সেই পদেই আমার প্যানেল নির্বাচিত হতে পারেনি। ফলে কতোটুকু কাজ করতে পারব সেটা নিয়ে নিজেই সন্দিহান। আমার আরো দুটি শক্ত হাত রিয়াজ ও ডি এ তায়েব পরাজিত হয়েছে। রিয়াজ সংগঠক হিসেবে দারুণ ছিল, অন্যদিকে তায়েব প্রশাসনিক দিক থেকে এগিয়ে। তারা নির্বাচিত হলে আমার জন্য সুবিধা হতো। সত্যি বলতে, নিপুণের পরাজয়টা আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে।

তাহলে আপিল করছেন না কেন?
ফজরের নামাজের আগে ভোট গণনা শেষ হয়েছে। আমি বাসায় ফিরেছি ভোরে। এদিকে আপিলের সময় মাত্র ১টা পর্যন্ত। আমি ঘুমিয়েছি সকালে, বাসা উত্তরায়। ঘুম থেকে উঠে সেখান থেকে এফডিসি যেতেও তো সময় লাগে। নির্বাচন কমিশন ইচ্ছা করেই হয়তো আপিল করার সময় কমিয়েছে। তারপরও আমি আপিল করেছি। কাল রাতেই বিষয়টি অবগত ছিলাম বলে সময়মতো কাজ করতে পেরেছি। এখন দেখা যাক ফল নতুন করে কি আসে!

ভোট কারচুপি কতটা ব্যাপকভাবে হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন?
নির্বাচন কমিশন ২৬টি ভোট বাতিল করেছে। যার মধ্যে নিপুণ পেয়েছে ১৬টা। এই ১৬টা ভোট কাউন্ট হলেই ফলাফল পরিবর্তন হয়ে যেত। এখন দেখার বিষয় কমিশন ইচ্ছা করে ভোটগুলো বাতিল করে কি না! আমি জেতার ব্যাপারে এখনো আশাবাদী।

আপনারা শপথ নেবেন কবে?
এসব বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আমি এখনো ধোঁয়াশার মধ্যে আছি। নির্বাচন কমিশন ভালো বলতে পারবে আমরা শপথ কবে নেব বা কবে নাগাদ আমাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।

আপনার প্যানেলের পরাজিত প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে?
আমি সব সময় তাদের সঙ্গে কথা বলছি। আজ (রবিবার) তাদের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত বৈঠক আছে। সেখানে অনেক কিছু নিয়ে কথা বলব, নতুন সিদ্ধান্তও আসতে পারে। আসলে আমার প্যানেলে যারা পরাজিত হয়েছেন তাদের দায় সম্পূর্ন আমার। আমি যদি আর একটা মাস সময় নিয়ে কাজ করতে পারতাম তাহলে এমন হতো না। আমার প্যানেলে এমনও প্রার্থী আছেন যিনি ভোটটা পর্যন্ত দিতে আসেননি। এটা তো লজ্জার বিষয়। আগে থেকে জানতে পারলে নিশ্চয় এই ব্যাপারে আরো সচেতন হতে পারতাম।

আপনি তো নির্বাচনী ইশতেহারে ২২টি পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন। সেগুলো কার্যকর করার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবেন?
এখন কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। আমার ডান হাতই নেই। নিপুণ পাশ করলে তাকে নিয়ে ইশতেহারগুলোর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো। এখন জায়েদ আমাকে কতোটুকু সমর্থন করবে সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছি। আমি সব সময় অলাভজনক কাজে যুক্ত ছিলাম।

‘নিরপাদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের সঙ্গে পুরো জীবনটা কাটিয়ে দিলাম। শিল্পী সমিতিও অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান। এখানেও ভালোর জন্য কাজ করতে চাই। তবে তার জন্য অন্যদের সহযোগিতাও দরকার। যারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। যদি কাজ করতে পারি তাহলে ভালো, আর না পারলে করজোড়ে আগে থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সূত্রঃ কালের কন্ঠ