বিয়ের চার মাসেই সব শেষ মেঘলার

| আপডেট :  ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

বরিশালের আগৈলঝাড়ার ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্রী মেঘলা আক্তার ইতি আত্মহ’’ত্যা করেছেন বলে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রচার করলেও তা মানতে নারাজ মেঘলার ভাই।মেঘলার ভাই নয়ন সরদারের দাবি, যৌ’তুক না পেয়ে হ’’ত্যা করা হয়েছে তার বোনকে। এই অ’ভিযোগে মা’মলাও দা’য়ের করেছেন তিনি। মা’মলার অ’ভিযোগ আমলে নিয়ে আ’দালত শুনানির জন্য রেখেছেন।

মা’মলার অ’ভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ফুল্লশ্রী গ্রামের মৃ’ত রুহুল আমিন সরদারের মেয়ে মেঘলা আক্তার ইতির সাথে চার মাস আগে যবসেন গ্রামের জাহাঙ্গীর পাইকের ছেলে স’রকারী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র শিহাব হোসেন পাইকের বিয়ে হয়। এর আগে তারা দুজনে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে মেঘলার শ্বশুর জাহাঙ্গীর হোসেন পাইক ও শাশুরি ময়না বেগম ছেলে শিহাবকে বিদেশ পাঠাতে মেঘলাকে পাঁচ লাখ টাকা যৌ’তুক এনে দিতে চা’প দেন।

এ নিয়ে নানাভাবে নি’র্যাতন শুরু করেন। মেঘলা নি’র্যাতনের কথা বাবার পরিবারকে ফোনে জানাতো। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে মেঘলাকে মা’রধর করে শিহাব ও তার মা-বাবা মেঘলার গ’লায় ওড়না পেঁ’চিয়ে হ’’ত্যা করে। যদিও বাইরে তারা প্রচার করেছেন মেঘলা আত্মহ’’ত্যা করেছে।

অ’ভিযোগে আরও বলা হয়েছে, শিহাবের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশের ও’পর প্রভাব বিস্তার করে পুলিশের এজাহারে মেঘলা আত্মহ’’ত্যা করেছে মর্মে মা’মলা নেওয়া হয়েছে। সেখানে প্ররোচনায় অ’ভিযুক্ত করা হয়েছে স্বামী শিহাবকে।

নয়ন সরদার বলেন, আমার বোন আত্মহ’’ত্যা করতে পারে না। সে প্রেম করে বিয়ে করেছে। তাকে মে’রে ঝু’লিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা মেঘলার লা’শ ঝু’লন্ত অবস্থায় পাইনি। গিয়ে দেখি তার লা’শ নিচে পড়ে রয়েছে। এটা হ’’ত্যাকাণ্ড। আমরা এই হ’’ত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

থানায় দা’য়ের হওয়া মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর আলম জানান, আত্মহ’’ত্যার প্ররোচনা মা’মলায় স্বামী শিহাব কা’রাগারে রয়েছেন। পরবর্তী কার্যক্রম আ’দালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলবে।