সাড়ে তিন মাস আগে লন্ডনে মারা গেছেন বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী

| আপডেট :  ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ণ

প’লাতক বিএনপি নেতা আবুল হারিছ চৌধুরী লন্ডনের একটি হাসপাতালে মা’রা গেছেন। তিনি ক’রোনায় ভুগছিলেন। গত বছর আগস্টে ক’রোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে সুস্থও হন। তবে ক’রোনায় ফুসফুসের মা’রাত্মক ক্ষ’তি হওয়ায় আবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তিনি আগে থেকেই ব্লাড ক্যান্সার ও অন্যান্য জটিলতায় ভুগছিলেন।

হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই সিলেট জে’লা বিএনপির সহসভাপতি আশিক চৌধুরী এ তথ্য দেন। তাঁর মৃ’ত্যু হয় প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে। পরিবারের সদস্যরা সংবাদটি এত দিন গো’পন রেখেছিলেন। গতকাল আশিক চৌধুরী ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ একটি স্ট্যাটাস দিলে হারিছ চৌধুরীর মৃ’ত্যুর বি’ষয়টি চাউর হয়ে যায়।

ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লেখা ছিল- ‘ভাই বড় ধন, র’ক্তের বাঁধন’। হারিছের একটি ছবি যুক্ত করে আশিক এ স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসের নিচে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন’ লিখে কমেন্ট দিতে থাকেন।
২১ আগস্ট গ্রে’নেড হা’মলা মা’মলায় ২০১৮ সালে যাবজ্জীবন সাজা হয় হারিছ চৌধুরীর। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দু’র্নীতি মা’মলায় হারিছ চৌধুরীর সাত বছরের জে’ল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়। এ ছাড়া সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হ’’ত্যা মা’মলায় হারিছ চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ২৮ জনের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ গঠন করা হয়।

২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর হারিছ চৌধুরী সস্ত্রীক তাঁর গ্রামের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজে’লার দর্পনগরে আসেন। রাত ১২টার পর তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আতিক মোবাইল ফোনে জানান, ঢাকায় বিএনপি নেতাদের বাসভবনে যৌথ বাহিনীর অ’ভিযান চলছে। কয়েক ঘণ্টা পর যৌথ বাহিনী হারিছের বাড়িতে হা’না দেয়। কিন্তু তার আগেই তিনি সরে পড়েছিলেন।

কিছুদিন সিলেটে এখানে-ওখানে লুকিয়ে থাকার পর ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে ভারতে চলে যান। ভারতের আসামে করিমগঞ্জ জে’লার বদরপুরে তাঁর নানাবাড়ি। সেখানেই তিনি ওঠেন। সেখান থেকেই বিদেশে যাতায়াত করতেন। সূত্র জানান, ব্যবসা-বাণিজ্যও দেখভাল করতেন ওখানে থেকেই।

হারিছ চৌধুরী স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে নিয়ে যুক্তরাজ্যে থাকতেন। তাঁর ছেলে জনি চৌধুরী পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার। মেয়ে মুন্নু চৌধুরী ব্যারিস্টার।