দু’একদিনের মধ্যেই কঠোর বিধিনিষেধ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

| আপডেট :  ৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:১০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:১০ অপরাহ্ণ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে কারিগরি কমিটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী দু’একদিনের মধ্যেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। শনিবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে মানিকগঞ্জের গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশে গত ১৫ দিন আগেও আড়াই’শ থেকে ৩’শ লোক সংক্রমিত হয়েছে। গতকাল এবং পরশু সাড়ে এগারো’শ লোক সংক্রমিত হয়েছে। অর্থাৎ সংক্রমণের হার ৪ গুণ বেড়ে গেছে। এটা খুবই আশঙ্কাজনক। এই হারে যদি বাড়ে রোগীর সংখ্যা বাড়বে। রোগীর সংখ্যা বাড়লে হাসপাতালের বেডে স্বল্পতা দেখা দিবে। চিকিৎসা ক্ষেত্রেও অসুবিধা দেখা দিবে।

মাস্ক ছাড়া বাইরে গেলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত জেল-জরিমানা করবে বলে হুশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই এখনো অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। কল-কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে। এই পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, আমাদের ২০ হাজার শয্যা প্রস্তুত রাখা আছে। যদি সংক্রমণের হার অতিমাত্রায় বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে বেডের স্বল্পতা হতে পারে। এজন্য আমাদের করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখার বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে আমাদের বিভিন্ন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘সামাজিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট আসনের বেশি লোকজন দাওয়াত দিতে পারবেন না। তা না হলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। দোকানপাট রাত ৮ টার ভেতর বন্ধ করতে হবে, লঞ্চ এবং ট্রেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করার একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। টিকার কার্ড সাথে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে যেতে হবে। কাজে-কর্মে প্রতি অবস্থায় মাস্ক পড়তে হবে।’

শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যুবায়ের হোসেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই এসময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এ সময় ২ হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার প্রতি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান থাকবে।