একসঙ্গে ৩ মেয়েকে হারিয়ে বুক চা’পড়ে চি’ৎকার বাবার

| আপডেট :  ৪ জানুয়ারি ২০২২, ১১:২৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৪ জানুয়ারি ২০২২, ১১:২৪ অপরাহ্ণ

কুমিল্লার মেঘনা উপজে’লার কাঁঠালিয়া নদীতে ট্রলার’ডুবির ঘটনায় একই সঙ্গে আপন তিন বোনের মৃ’ত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে থানা থেকে মেয়েদের ম’রদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় বুক চা’পড়ে চি’ৎকার করে কা’ন্না করছেন বাবা শেখ ফরিদ।

নি’হত তিন বোনের বাবা বলছেন, ‘আমার কলিজার টুকরারা কইরে, আমার জান পাখিরা কইরে, আমার হিরা মানিক কইরে?’জানা গেছে, কুমিল্লার মেঘনা উপজে’লার কাঁঠালিয়া নদীতে ট্রলার ডুবে প্রা’ণ হা’রানো চারজনই একই পরিবারের। দু’র্ঘটনায় আরও ৭ জন আ’হত হয়েছেন।

নি’হতরা হলেন, জে’লার তিতাস উপজে’লার রায়পুর গ্রামের আব্দুল মতিন মিয়ার স্ত্রী জুলেখা আক্তার (৫৫), তার মেয়ের ঘরের নাতনি আয়েশা আক্তার (১২), মরিয়ম আক্তার (৭) ও তামান্না আক্তার (১০)। নি’হতরা সবাই ঢাকার ডেমরা থানার সুকশি এলাকায় বসবাস করেন। মামার বাড়ি তিতাস উপজে’লার মোহনপুর গ্রামে যাওয়ার পথে এ দু’র্ঘটনার শি’কার হন।

বাবা শেখ ফরিদ বলেন, গত সোমবার আমি চিকিৎসক দেখাতে ঢাকা মেডিকেল গেছিলাম, তাদের মা বাড়িতেই ছিল। আমার তিন মেয়ে ও তাদের নানি জুলেখা মামার বাড়ি কুমিল্লার তিতাস এলাকায় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ট্রলার’ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার আমার তিন মেয়ে ও তাদের নানি মা’রা যায়।

তিনি বলেন, আমার দুই মেয়ে ঢাকার চিটাগাং রোড এলাকার একটি মাদরাসায় পড়ত। আর ছোট মেয়ে তামান্নাকে একজন মহিলা শিক্ষক বাসায় এসে পড়াতেন। স্বপ্ন ছিল, তারা অনেক বড় হবে। আমার রাজকন্যাদের আল্লাহ নিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার দুইডা মাইয়ার ম’রদেহ লইয়া ঢাকা গেছি। ওই দুইডারে কবরে দিয়া আইজ আরেকটার ম’রদেহ লইয়া বাড়িত যাইতেছি। আমার চেয়ে হতভাগ্য বাপ আর কে আছে। এহন কে আমারে আব্বা কইয়া ডাকব।’

চালিভাঙ্গা নৌপুলিশ ফাঁ’ড়ির পরিদর্শক আবু আবদুল্লাহ জানান, ‘নদীর ওই অংশে প্রচুর কচু’রিপানা ও মাছের ঘের ছিল। সেখানে পৌঁছালে ট্রলারের নিচে থাকা পাখা খুলে যায়। এ সময় ট্রলারে পানি উঠে তলিয়ে যায়।মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, এটি নিছকই দু’র্ঘটনা। মৃ’তদের পরিবার থানায় কোনো অ’ভিযোগ দেয়নি।