যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা বললো র‌্যাব

| আপডেট :  ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:০২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:৪৪ অপরাহ্ণ

র‌্যা’পিড অ্যা’কশন ব্যাটেলিয়ানের (র‌্যা’ব) বি’রুদ্ধে মা’নবাধিকার ল’ঙ্ঘনের অ’ভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মইন। শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যা’বের মিডিয়া সেন্টারে তাদের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ও’পর মা’র্কিন নি’ষেধাজ্ঞার বি’ষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘র‌্যা’ব মা’নবাধিকার লুণ্ঠন করে না, মা’নবাধিকার রক্ষা করে।’

কমান্ডার মঈন বলেন, র‌্যা’বের ৯ হাজার সদস্যের মধ্যে অন্তত ২৮ জন বিভিন্ন অপারেশনে নি’হত এবং দুই হাজার সদস্য আ’হত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত এক হাজার সদস্য চিরস্থায়ীভাবে প’ঙ্গু হয়ে গেছেন।তিনি বলেন, র‌্যা’বের ধারাবাহিক তৎপরতার কারণে বাংলাদেশ উ’গ্রবা’দী ও সুন্দরবনের জলদস্যুদের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, র‌্যা’ব বিভিন্ন জ’ঙ্গি সংগঠনের সদস্য ও বনদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ও তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করে মা’নবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।কমান্ডার মঈন বলেন, ‘এই নি’ষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আমরা এখনও কোনো চিঠি পাইনি। এ বি’ষয়ে অফিসিয়াল চিঠি পাওয়ার পর আমরা পদক্ষেপ নেব।’

তিনি বলেন, কারো পক্ষেই আইনের ঊর্ধ্বে ওঠার সুযোগ নেই। র‌্যা’ব যেহেতু অন্য নিরাপত্তা বাহিনী তুলনায় অনেক বেশি ক’ঠোর, তাই র‌্যা’বের কোনো কর্মকর্তা আইন ল’ঙ্ঘন করলে তার আরো ক’ঠোর সাজা হয়।

উল্লেখ্য, মা’নবাধিকার ল’ঙ্ঘনের অ’ভিযোগে র‌্যা’বের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ ও ছয় কর্মকর্তার ও’পর নি’ষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।

মা’র্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, মা’নবাধিকারের গু’রুতর ল’ঙ্ঘনের জন্য গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি নি’ষেধাজ্ঞা কর্মসূচির অধীনে দেশটির ট্রেজারি বিভাগ র‌্যা’ব, বেনজির আহমেদ ও অন্য ছয় কর্মকর্তাকে এ নি’ষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ ছাড়াও নি’ষেধাজ্ঞার আওতায় আসা অন্যরা হলেন র‌্যা’ব ইউনিট-৭ এর সাবেক কমান্ডিং অফিসার লে’ফটেন্যা’ন্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ, র‌্যা’বের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্ম’দ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্ম’দ জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্ম’দ আনোয়ার লতিফ খান।

২০১৮ সালের কক্সবাজারের টেকনাফে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের ‘বিচার বহির্ভূত হ’’ত্যাকাণ্ড’ এর ঘটনাটি উল্লেখ করেছে মা’র্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

এ কর্মকর্তাদের ও’পর মা’র্কিন নির্বাহী আদেশ (ইও) ১৩৮১৮ জারি করা হয়েছে। এর মানে হলো দেশটিতে এ কর্মকর্তাদের কোনো সম্পত্তি থাকলে তা জ’ব্দ করা হবে। এ প্রথম বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ও’পর মা’র্কিন নি’ষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি