নজরদারিতে তাহসান-মিথিলা-ফারিয়া, যেকোনো সময় গ্রে’ফতার

| আপডেট :  ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:৫৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:৫৯ অপরাহ্ণ

গ্রাহকদের অর্থ আ’ত্মসাতের ঘটনায় আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বি’রুদ্ধে মা’মলা করেছেন এক গ্রাহক। মা’মলায় সঙ্গীতশিল্পী তাহসান খান ও অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও রাফিয়াদ রশিদ মিথিলাসহ ৯ জনকে আ’সামি করা হয়েছে। এই মা’মলায় যেকোনো সময় তাদের গ্রে’ফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান।

আজ শুক্রবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাদুর রহমান বলেন, চটকদার বিজ্ঞাপন ও বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে হাজারো গ্রাহককে এরইমধ্যে পথে বসিয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। এমন অ’ভিযোগে এক ব্যক্তি মা’মলা করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির প্র’তারণার শুরু থেকে সংযুক্ত করা হয়েছিল নামিদামি তারকাদের। অনেকের অ’ভিযোগ জনপ্রিয় এসব তারকাদের দেওয়া মি’থ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁ’দে পা দিয়েই সর্বস্বান্ত হয়েছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, তাদের বি’রুদ্ধে ইভ্যালি প্র’তারণার মা’মলায় যেকোনো সময় গ্রে’ফতার করা হবে জনপ্রিয় তারকা তাহসান, অভিনেত্রী মিথিলা এবং শবনম ফারিয়াকে। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছেন। মা’মলায় আ’সামি করা হয়েছে নয় জনকে। ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা ছাড়াও মা’মলায় পাঁচ নম্বর আ’সামি করা হয়েছে সঙ্গীত শিল্পী তাহসানকে। আট ও নয় নম্বর আ’সামি করা হয়েছে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও রাফিয়াদ রশিদ মিথিলাকে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ধানমন্ডি থানার অফিসার ই’নচার্জ (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া তিনি বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক আমাদের এখানে মা’মলা দা’য়ের করেন। মা’মলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্ম’দ রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনকে আ’সামি করা হয়েছে। এ মা’মলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্ম’দ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রে’ফতার দেখানো হয়েছে। বাকিদের বি’ষয়ে ত’দন্ত চলছে।

মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. রাজিব হাসান বলেন, উক্ত মা’মলায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এমডি মোহাম্ম’দ রাসেলকে গ্রে’ফতার দেখানো হয়েছে। বাকিদের বি’ষয়ে ত’দন্ত চলছে। ত’দন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।মা’মলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্র’তারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আ’ত্মসাৎ ও সহায়তা করা হয়েছে। আ’ত্মসাৎকৃত টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা। যা উ’দ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

মা’মলার বা’দী সাদ স্যাম রহমান বলেন, আমি ইভ্যালিতে বাইক অর্ডার করেছিলাম। দীর্ঘ চেষ্টায়ও বাইক পাইনি। তাই বা’ধ্য হয়ে মা’মলা করেছি। তাহসানের মত একজন মানুষকে ট্রাস্ট করেছি। এর বাইরে যারা আছেন তারাও ইভ্যালির গুনগান গেয়েছেন। তাদের দেখে আশান্বিত হয়েছিলাম। ভেবেছি এরা থাকলে কোম্পানি প্র’তারণা করবে না। তাই তিন লাখ ১৮ হাজার টাকার বাইক অর্ডার করেছি। সাত মাস আগে অর্ডার করেছি, এখন পর্যন্ত পাইনি। কতদিন এভাবে অপেক্ষা করবো।