বিএনপির এমপি হারুনের ৫ বছরের সাজা

| আপডেট :  ৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:১৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:১৫ অপরাহ্ণ

শুল্ক ফাঁকির অ’ভিযোগে দুদকের মা’মলায় বিএনপির সং’সদ সদস্য (এমপি) হারুন অর রশীদসহ তিনজনের দ’ণ্ডের বি’রুদ্ধে করা আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে তাদের সাজাও কমিয়ে দিয়েছে আ’দালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. সেলিমের বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ে আ’দালত বলেছেন, তাদের বিচারিক আ’দালতের দেওয়া সাজা কমিয়ে এ মা’মলায় তিন আ’সামি যতদিন কারাভোগ করেছেন ততদিন সাজা হিসেবে গণ্য হবে। ফলে তাদের এখন আর জে’লে যেতে হবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আ’দালতে এই সং’সদ সদস্যের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মিজানুর রহমান ও এইচ এম সানজীদ সিদ্দিকী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, হারুন অর রশীদের সাজা মডিফাই করে তাকে সার্ভ আউট অর্থাৎ এই মা’মলায় তিনি প্রায় ১৬ মাস জে’লে ছিলেন। এই ১৬ মাস সাজা বহাল রাখা হয়েছে। সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা বিক্ষু’ব্ধ। উনি নির্দোষ। উনি গাড়ি বিক্রি করেনি। কোনো অ’পরাধ করেনি। তাই রায়ের বি’রুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করব।

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আ’দালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম শুল্ক ফাঁকির অ’ভিযোগে দুদকের মা’মলায় তাকে ৫ বছরের দ’ণ্ড দেন। কা’রাদ’ণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদ’ণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কা’রাদ’ণ্ড দেওয়া হয়। পরে এ রায়ের বি’রুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হারুন।

এছাড়া এই মা’মলায় চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে দুই বছর সশ্রম কা’রাদ’ণ্ড ও একলাখ টাকা অর্থদ’ণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কা’রাদ’ণ্ড দেওয়া হয়।

মা’মলার অপর আ’সামি ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কা’রাদ’ণ্ড এবং ৪০ লাখ টাকা অর্থদ’ণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কা’রাদ’ণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরে আ’সামিদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদ’ণ্ড স্থগিত করেন। পাশাপাশি তাদের জা’মিন দেন উচ্চ আ’দালত।

মা’মলার অ’ভিযোগ অনুসারে, বিএনপি জোট স’রকারের সময় এমপি থাকাকালে ২০০৫ সালে ব্রিটেন থেকে একটি হ্যামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনেন। গাড়িটি তিনি পরে ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর সাদেক গাড়িটি চ্যানেল নাইনের এমডি বাপ্পীর কাছে বিক্রি করেন।

নিয়ম অনুযায়ী, শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু এমপি হারুন শুল্ক না দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। এই অভিযোগে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ এমপি হারুনসহ তিনজনের নামে এ মা’মলা দা’য়ের করেন তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক ইউনুস আলী।

এ মা’মলায় ২০০৭ সালের ১৮ জুলাই তাদের বি’রুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। একই বছর তাদের বি’রুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আ’দালত এ রায় দেন। হারুন অর রশীদ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হন।