ছেলের ম’রদেহ সেপটিক ট্যাংকে চা’পা দিয়ে নির্বাচনে ব্যস্ত বাবা-মা

| আপডেট :  ২৬ নভেম্বর ২০২১, ০৮:১৪ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ নভেম্বর ২০২১, ০৮:১৪ অপরাহ্ণ

দুই বছর আগে এক ছেলের বউ চিরকুট লিখে রেখে আত্মহ’’ত্যা করেন। সেই ঘটনা ‘সামাল’ দিতে কাঠখড় পোহাতে হয়েছে অনেক। এবার আত্মহ’’ত্যা করেছেন ছেলে। এ ঘটনা নিয়ে আর ‘ঝামেলা’ পোহাতে চান না বাবা-মা। একই সময়ে চলছে নির্বাচন। সেখানে মা করুণা বেগম লড়ছেন সংরক্ষিত সদস্য পদে।

এমন সময় ছেলের আত্মহ’’ত্যার প্রভাব নির্বাচনে পড়তে পারে, সেই চিন্তা থেকে ছেলের লা’শ উ’দ্ধার করে ‘গো’পনে’ সেপটিক ট্যাংকে চা’পা দেন বাবা-মা। এরপর নেমে পড়েন নির্বাচনী প্রচারণায়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। নি’হতের বাবা নিজেই বি’ষয়টি চার দিন পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করেন। এরপর শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে লা’শ উ’দ্ধার এবং নি’হতের বাবা ও মাকে আ’টক করে পুলিশ।

এমন ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজে’লায়। নি’হত করিম (১৮) শাহজাদপুর উপজে’লার নরিনা ইউনিয়নের নরিনা পূর্বপাড়ার আলহাজ হোসেনের ছেলে। নি’হতের মা করুণা বেগম চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ওই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী পদের প্রার্থী। ছেলের লা’শ চা’পা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় স্বামীকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি।

নি’হতের মা করুনা বেগম জানান, মেজো ছেলে করিম দীর্ঘদিন ধরে নে’শায় আসক্ত ছিল। মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে করিম তার নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। পরদিন ভোরে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে ছোট ছেলের ঘর থেকে উঁকি দিয়ে দেখেন তিনি আত্মহ’’ত্যা করেছেন। এরপর স্বামী-স্ত্রী মিলে ছেলের লা’শ নামিয়ে বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ফে’লে মাটিচা’পা দিয়ে রাখেন।

সেপটিক ট্যাংকে লা’শ রাখার কারণ জানতে চাইলে নি’হতের বাবা আলহাজ বলেন, ‘প্রায় দুই বছর আগে বড় ছেলের বউ চিঠি লিখে রেখে আত্মহ’’ত্যা করেছিল। ওই ঘটনা সামাল দিতে আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। এবার ছেলের আত্মহ’’ত্যার বি’ষয়টি জানাজানি হলে আবারও আইনি ঝামেলা হবে, তাতে আমাদের বর্তমান বসতভিটাও থাকবে না। তাই আমরা বুকে ক’ষ্ট চা’পা রেখে ছেলের আত্মহ’’ত্যার বি’ষয়টি গো’পন করতেই লা’শ মাটিচা’পা দিয়েছিলাম। পাশাপাশি বি’ষয়টি কেউ যেন টের না পায় সে জন্য স্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণাও যথারীতি চালাই।’

আলহাজ আরো বলেন, ‘ছেলের মৃ’ত্যুর ঘটনাটি সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই শুক্রবার সকালে স্থানীয় গাড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের কাছে গিয়ে ঘটনা প্রকাশ করেছি। এরপর চেয়ারম্যান পুলিশকে বি’ষয়টি অবগত করেছে।’সংবাদ পেয়ে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল হোসেন ও থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান ও পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল মজিদ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ওসি শাহিদ মাহমুদ খান জানান, নি’হতের লা’শ উ’দ্ধারের পর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। শনিবার লা’শটি সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হাসপাতাল ম’র্গে পাঠানো হবে। ঘটনাটি হ’’ত্যা নাকি আত্মহ’’ত্যা ম’য়নাত’দন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় জ’ড়িত থাকার অ’ভিযোগে নি’হতের মা-বাবাকে আ’টক করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মা’মলার প্রস্তুতি চলছে।