ইসলামে ভাস্কর্য ও মূর্তি উভয়ই নিষিদ্ধ: ফয়জুল করীম

| আপডেট :  ২৮ নভেম্বর ২০২০, ০৪:৪৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ নভেম্বর ২০২০, ০৪:৪৮ অপরাহ্ণ

দেশের শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ ও চট্টগামে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগকে মাঠে নামিয়ে সরকার অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

ভাস্কর্যবিরোধী মাদ্রাসার ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ এবং ১৮ জন ছাত্রকে আটকের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি। এসনয় তিনি এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ভাস্কর্য বা মূর্তির বিরোধিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরোধিতা নয়। এটা যারা বুঝতে পারে না, তারাই দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।

এসময় তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত মুসল্লিদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ভাস্কর্যবিরোধী মাদ্রাসার ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ খুবই দুঃখজনক ঘটনা। নিরীহ মাদ্রাসাছাত্রদের মিছিলে এ ধরনের লাঠিচার্জ সরকারের জন্য সুখকর হবে না।

ফয়জুল করীম আরও বলেন, ছাত্র-যুবলীগ সারা দেশে যখন ধর্ষণের রাজত্ব কায়েম করেছে, তখন তাদের নিয়ন্ত্রণ ও নিবৃত না করে ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে উসকে দিয়ে সরকার অত্যন্ত ন্যক্কারজনক কাজ করেছে।

এছাড়া তিনি আরও বলেন, ওলামায়ে কেরাম শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যবিরোধী নন, তারা সব মানবমূর্তি বা ভাস্কর্যের বিরোধী। ওলামায়ে কেরাম বঙ্গবন্ধুসহ দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণ চান বলেই তার বিরোধিতা করছেন এবং ওলামায়ে কেরাম মূর্তি ও ভাস্কর্যের বিষয়ে খোলামেলা বিশ্লেষণ করে জাতিকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন।

বিবৃতিতে ফয়জুল করীম ভাস্কর্য বা মূর্তিকে অকল্যাণের প্রতীক আখ্যা দিয়ে বলেছেন এতে কোনো শান্তি ও কল্যাণ নেই এবং বঙ্গবন্ধুকে স্মরণীয় করে রাখতে তার নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ বানানোর পরামর্শ দেন।