হুঙ্কার দিয়ে ৮০ রানও করতে পারল না, যা বললেন রিয়াদ

| আপডেট :  ৪ নভেম্বর ২০২১, ০৭:৩৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৪ নভেম্বর ২০২১, ০৭:৩৩ অপরাহ্ণ

বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেও বিপদে বাংলাদেশ দল। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে টাইগাররা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটি অসিদের বিপক্ষে ৬.১ ওভারে ৩৩ রানে বাংলাদেশ হারায় ৫ উইকেট।

মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউডের গতি আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অফ স্পিন আর অ্যাডাম জাম্পার লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে একের পর এক সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, ও আফিফ হোসেন। প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ইনিংসের তৃতীয় বলেই মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। দলীয় ১ রানে ফেরেন এ ওপেনার।

এ যেন ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে সবচেয়ে বড় লজ্জার হার উপহার দিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনী। দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করে মাত্র ১৫ ওভারেেই ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। জবাবে মাত্র ৭ম ওভারেই ৯ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় অজিরা।

বিশ্বকাপ সুপার টুয়েলভে প্রথম চার ম্যাচেই পরাজয় দেখেছিল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচেও লজ্জাজনক হারের পর এবারের মতো নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রাও শেষ করল টাইগাররা। এরকম এক বিশ্বকাপ কাটানোর পরে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর চোখে মুখেও দেখা মিলল হতাশার ছাপ। রিয়াদ মনে করেন, অনেকগুলো বিষয়ের উপর এখন নতুন করে নজর দিতে হবে।

অজিদের বিপক্ষে লজ্জাজনক হারের জন্য ব্যাটসম্যানদেরই দায় দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহ বলেন, এভাবে হারার জন্য কোনো ধরণের অজুহাতই দিতে চাই না। অন্যতম সেরা একটি পিচে খেলেছি আমরা কিন্তু আমাদের ব্যাটিং খুবই খারাপ ছিল। সত্যি বলতে, এরকম পারফরম্যান্সের পর কিছুই বলার থাকে না। অনেকগুলো বিষয়ের উপর এখন নতুন করে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে ব্যাটিং। আমাদের ব্যাটিংয়ের সমস্যাগুলোও খুঁজে বের করতে হবে।

বিশ্বকাপে খারাপ করার জন্য কন্ডিশনের অজুহাত দিতে চান না রিয়াদ। তিনি মনে করেন, বিশ্বকাপ শুরুর আগে আমরা দেশের মাটিতে কয়েকটা সিরিজ জিতেছি। বিশেষ করে আমাদের কন্ডিশনের সম্পূর্ণ ব্যবহার করে। একজন প্রফেশনাল ক্রিকেটার হিসেবে সকল কন্ডিশনেই মানিয়ে নিতে হয়। এখানকার উইকেট ও কন্ডিশন আমাদের অনূকুলেই ছিল।

বিশ্বকাপে সমর্থকদের হতাশ করলেও তাদের সমর্থন ভবিষ্যতেও আশা করছেন রিয়াদ। তিনি বলেন, সুপার টুয়েলভের দুইটি ম্যাচে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) আমরা খুব কাছাকাছি ছিলাম জয়ের। কিন্তু কিছু ভুল সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় সেই ম্যাচ দুটি হেরেছি। বাকি তিনটি ম্যাচে কোনো ধরণের প্রতিদ্বন্দীতাই দেখাতে পারিনি। তবুও আশা করি, সমর্থকরা আমাদেরকে সামনের দিনগুলোতেও সমর্থন করবে এবং আমরা তাদেরকে ভালো ফলাফল এনে দিতে পারবো।