সব
রাশিয়ান অভিনেত্রী জুলিয়া পেরেসলিড, পরিচালক ক্লিম শিপেঙ্কো ও মহাকাশচারী অভিনেতা ওলেগ নোভিতস্কি প্রথমবারের মতো সিনেমার শুটিং করতে মহাকাশে গিয়েছেন । ইতোমধ্যে সেখানে সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন ইতোমধ্যেই। ঠিকঠাক ভাবেই ফিরছিলেন পৃথিবীতেও। কিন্তু ঘটলো বিপত্তি।
রাশিয়ার মহাকাশযান‘সয়ুজ এমএস-১৮’-এর ধাক্কায় হঠাৎই থরথর করে কেঁপে উঠল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। এমনকি রুশ মহাকাশযানের ধাক্কায় নিজের কক্ষপথ থেকে মহাকাশ স্টেশন ৪৫ ডিগ্রি কোণে সরে যেতে বাধ্য হলো।
আর সেই মহাকাশযানে ছিলেন মহাকাশে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের শুটিং করতে যাওয়া রুশ অভিনেত্রী জুলিয়া পেরেসলিড, পরিচালক ক্লিম শিপেঙ্কো ও মহাকাশচারী অভিনেতা ওলেগ নোভিতস্কি। তবে অল্পের জন্য তারা বেঁচে গিয়েছেন। নিজেরাও কেঁপে ওঠেন মহাকাশযানের ভিতর।
আমেরিকার হিউস্টনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মিশন কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশি সময়ে শুক্রবার রাত পৌণে ১১টার দিকে। চলচ্চিত্রের শুটিং হয়ে যাওয়ার পর অভিনেতা, অভিনেত্রী ও পরিচালককে নিয়ে মহাকাশ স্টেশন ছেড়ে ওই সময় পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দিতে তৈরি হচ্ছিল রুশ মহাকাশযান সয়ুজ এমএস-১৮।
রোববার ১৭ অক্টোবর সকালেই পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ওই রুশ মহাকাশযানের। রুশ মহাকাশযানটি নামানো হয়েছিল মহাকাশ স্টেশনে রাশিয়ার যে গবেষণাগারটি রয়েছে, সেই ‘নাওকা মডিউল’-এ।
পৃথিবীতে ফিরে আসার লক্ষ্যে রুশ মহাকাশযানটির থ্রাস্টার ইঞ্জিনগুলো পরীক্ষা করে দেখছিলেন রুশ মাহাকাশচারী প্রযুক্তিবিদরা। তখন থ্রাস্টার ইঞ্জিন চালু করতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি।
সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও বন্ধ করা যায়নি মহাকাশযানের থ্রাস্টার ইঞ্জিনগুলো। তাদের সজোর ধাক্কায় কেঁপে ওঠে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। সেই ধাক্কা নিজের কক্ষপথ থেকে অন্তত ৪৫ ডিগ্রি কোণে সরিয়েও দেয় মহাকাশ স্টেশনকে।
তারপর ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় রুশ মহাকাশচারী প্রযুক্তিবিদরা বন্ধ করতে সক্ষম হন মহাকাশযানের থ্রাস্টার ইঞ্জিনগুলো। তাতে মহাকাশ স্টেশনের দুলুনিও বন্ধ হয়।
