পরীমনির ৩০ লাখ টাকার গাড়ি, ব্যবহার হতো মাদক পরিবহনে!

| আপডেট :  ১০ অক্টোবর ২০২১, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১০ অক্টোবর ২০২১, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ণ

৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনেছিলেন পরীমণি। আর সেই গাড়ি ব্যবহার করতেন মাদক পরিবহনের কাজে। এসব তথ্য উঠে এসেছে আদালতে সিআইডির দেয়া চার্জশিটে। সেই সঙ্গে মদপানের লাইসেন্সের মেয়াদও ছিল না ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত এই নায়িকার।

পরীমণির বিরুদ্ধে দেয়া চার্জশিটে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়ার অনেক আগেই এই চিত্রনায়িকার মদপানের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। এতে আরও বলা হয়, পরীর বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কাগজপত্র ছিল না। মাদক বহনের কাজে ঋণের টাকায় কেনা গাড়িটি ব্যবহার করতেন তিনি। আর বাসায় থাকা মাদকের সন্তোষজনক জবাবও দিতে পারেননি পরীমণি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলছেন, উদ্ধার করা মাদকের যে পরিমাণ, তাতে এ মামলার সেশন ট্রায়াল হবে তারপর ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় এ মামলা এগোবে এবং সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই মামলার নিষ্পত্তি হবে।

তবে পরীমণির আইনজীবী মজিবুর রহমান বলছেন, কী পরিমাণ মদ উদ্ধার হয়েছে তা আমাদের এখনও জানানো হয়নি। মামলার চার্জশিট এখনও হাতে পাননি বলেও জানান পরীর আইনজীবী। এজন্য প্রয়োজনে চার্জশিটের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবেন তারা।

পরীমণির বিরুদ্ধে দেয়া এই চার্জশিটের বিষয়ে ১০ অক্টোবর (রোববার) শুনানির দিন ধার্য করা রয়েছে। এদিন আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন চাইবেন পরীমণি।

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন নায়িকা পরীমণি। এ সময় অভিযানে তার বাসা থেকে ১৯ বোতল মদ, এলএসডি ও আইস নামক মাদক উদ্বার করা হয়। এ ঘটনার চার সপ্তাহ পর জামিন পান পরীমণি। আর দুই মাস পর তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় সিআইডি।